রাজনীতি

কানেক্টিভিটির মর্ম বোঝে না বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘যে বিএনপি নেত্রী বলেছিলেন সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হলে দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হবে, সেই বিএনপির কানেক্টিভিটির মর্ম বোঝার কথা নয়।’

Advertisement

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ভারতের সঙ্গে কানেক্টিভিটি ও সমঝোতা স্মারক সই নিয়ে বিএনপির সমালোচনাকে অবান্তর বর্ণনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইউরোপে কোনো সীমান্ত চৌকি নেই। সেখানে কি দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব নষ্ট হয়ে গেছে? ভারতের ওপর দিয়ে আমরা নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করছি, এতে কি ভারতের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হয়ে গেছে? আমরা কানেক্টিভিটি বাড়ানোর জন্য ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন সমঝোতা করেছি। নেপালের সঙ্গেও কানেক্টিভিটি হবে।’

তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গেও অর্থাৎ আমরা রিজিওনাল কানেক্টিভিটি বাড়ানোর মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। এই কানেক্টিভিটির মর্ম বিএনপি বোঝে না, বোঝার কথাও নয়।’

Advertisement

আরও পড়ুন

বিএনপি নেতারা কূটনীতির ভাষা বোঝে না: কাদের দিল্লির অনাপত্তিপত্র নিয়ে চীন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, দাবি রিজভীর

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। আমদের মূল শক্তি হচ্ছে দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ও শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি, সাহসিকতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিচক্ষণতা, সব সংকটে অবিচল থেকে সেটিকে মোকাবিলা করা, সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নেতৃত্বের ক্ষমতা, দলীয় ঐক্য এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অগাধ আস্থা, বিশ্বাস, সমর্থন এবং তাদের মেধা-শ্রম-ঘামের কারণেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পরপর চারবার এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর পাঁচবার রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে।’

পরপর চারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার কারণে কিছু নেতাকর্মীর মধ্যে যে আলস্য এসেছে, তা ঝেড়ে ফেলতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবাংলায় বামফ্রন্ট ৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিল। এর সবচেয়ে বড় কারণ, সংগঠন শক্তিশালী ছিল।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি ও তাদের সঙ্গে যুক্ত আন্তর্জাতিক চক্র উন্মুখ হয়ে বসেছিল যে সরকার আন্তর্জাতিকভাবে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হয়। এ পর্যন্ত ৮১টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান, প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ, ওআইসি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কমিশনসহ ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা শেখ হাসিনাকে পরপর চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন। পরপর চতুর্থবার নির্বাচিত শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে কাজের অভিপ্রায় ব্যক্ত করে চিঠি লিখেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।’

Advertisement

বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। এতে বক্তব্য দেন- নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি প্রমুখ।

আইএইচআর/কেএসআর/এএসএম