খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, শিল্পীর কণ্ঠ অস্ত্রের চেয়েও শক্তিশালী। মহান মুক্তিযুদ্ধে শিল্পীরা অংশ নিয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তারা গানের মাধ্যমে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। কবিরাও সেসময় কবিতার মাধ্যমে উজ্জীবিত করতে ভূমিকা রেখেছিলেন।
Advertisement
শুক্রবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা ২০২৩ ও শিল্পকলা প্রতিযোগিতা ২০২৪-এর সনদপত্র ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বাঙালি সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে হবে, বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কেবল একদিন উদযাপন করলে হবে না। এর চর্চা বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে মননে ধারণ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের সন্তানদের কাছে দেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরতে না পারলে তারা অন্য সংস্কৃতিতে আকৃষ্ট হবে। তাই দেশীয় সংস্কৃতির চর্চা বাড়াতে আরও কর্মসূচি নিতে হবে।
Advertisement
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির বিকাশ ও পৃষ্ঠপোষকতায় এরইমধ্যে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি গোলাম মওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান, নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবুবকর সিদ্দিক এবং জেলা কালচারাল অফিসার তাইফুর রহমান বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা-২০২৩ প্রাপ্তরা হলেন সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ত্রিশূল’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রকৌশলী তৃণা মজুমদার, কণ্ঠসংগীতে সম্পা দাস, সৃজনশীল সাংস্কৃতিক গবেষক মোস্তফা আল মেহমুদ রাসেল, যন্ত্রশিল্পী পরেশ কুমার মণ্ডল এবং চারুকলায় তাহমিদুর রহমান মনন। পরে খাদ্যমন্ত্রী সম্মাননাপ্রাপ্তদের হাতে স্মারক ও সনদপত্র তুলে দেন।
মশিউর রহমান/এসআর/এএসএম
Advertisement