পদ্মা সেতু নির্মাণের পেছনে নানা ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্তে পর অনেকেই বিরোধিতা করেছিলেন৷ আমাকেও কথা শুনতে হয়েছে৷ কিন্তু আমি কিছু বলিনি৷’
Advertisement
শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কাদের বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা বলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের সাহস দেখাতে পেরেছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নেত্রী যখন নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করার ঘোষণা দিলেন, তখন সবার মধ্যেই শোরগোল— কেউ কেউ বলছেন পাগল নাকি! বিশ্বব্যাংক ছাড়া পদ্মা সেতু সম্ভব নাকি! তখন আমি পাশেই ছিলাম। আমাকে উদ্দেশ্য করেও কতজন কত কথা বলেছেন। আজকে আমরা পদ্মা সেতুর সব কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক আমাদের হতাশ করে চলে গেলো। পদ্মা সেতু থেকে অপবাদ নিয়ে সরে গেলো। ২০১২ সালের জুলাই মাসে জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ঘোষণা দিলেন, আমরা আমাদের টাকায় পদ্মা সেতু করবো। তখন আমাদের আশপাশে প্রথম ও দ্বিতীয় সাড়িতে অনেকে বসা ছিল। তারাও এটা নিয়ে নানান কথা বলেছেন। কিন্তু আমরা করে দেখিয়ে দিয়েছি।
Advertisement
পদ্মা সেতু নিয়ে স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, ওয়াশিংটনে মাইনর অপারেশন করাচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ এদিকে পদ্মায় প্রথম স্প্যান বসবে৷ আমরা ওনাকে জানালাম, আপনি ফিরলে স্প্যান বসবে৷ তিনি বললেন, শেখ হাসিনার কারণে পদ্মা সেতুর কাজ যেন এক মিনিটের জন্যও থেমে না থাকে৷
যতদিন পদ্মা সেতু থাকবে, ততদিন শেখ হাসিনার নাম উচ্চারিত হবে৷ মানুষের হৃদয়ে যে নাম লিখিয়েছেন শেখ হাসিনা, সেখানেই বেঁচে থাকবেন৷
ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আরও বক্তব্য দেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মনজুর হোসেন ও পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই পদ্মা সেতু থিমসং প্রচার করা হয়। এছাড়া পদ্মা সেতুর ওপর একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হয়। সুধী সমাবেশে সেতুমন্ত্রীর ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা স্মারক দেওয়া হয়।
Advertisement
এসইউজে/এমএএইচ/এএসএম