ফুটবল মাঠের শৃঙ্খলা বর্ধিত করা ও সময় বাঁচাতে নতুন আইনের অবতারণা করা হয়েছে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের চলতি আসরে। নতুন এই আইনটি প্রবর্তন করেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের আয়োজক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা- উয়েফা।
Advertisement
আইনের ব্যাখ্যায় উয়েফা বলেছে, ইউরো টুর্নামেন্টে রেফারির কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে যদি দলগুলোর কোনো আপত্তি থাকে, তাহলে কেবলমাত্র ওই নির্দিষ্ট দলের অধিনায়ক রেফারির সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। অন্য কোনো খেলোয়াড় রেফারির সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়াতে পারবেন না।
আর কোনো দলের অধিনায়ক যদি গোলরক্ষক হয়, তাহলে তিনি অন্য কাউকে নিজের প্রতিনিধি ঘোষণা করবেন। একমাত্র ওই প্রতিনিধিই রেফারির সঙ্গে কথা বলতে পারবেন।
সংস্থাটির দাবি, অনেক সময় রেফারির সিদ্ধান্তে ফুটবলাররা আপত্তি করেন। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অন ফিল্ড আম্পায়ারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায়ও জড়াতে দেখা যায় ফুটবলারদের। এতে করে মাঠে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় এবং সময়ের অপচয় হয়। নতুন আইনে মাঠে ফুটবলারদের আচরণবিধিতে পরিবর্তন আসবে। খেলার মাঠে শৃঙ্খলা বাড়বে এবং রেফারিরর সঙ্গে আলোচনাও ফলপ্রসু হবে।
Advertisement
এবার নতুন এই আইন নিজেদের আয়ত্ত্বাধীন সব ধরনের টুর্নামেন্টে প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উয়েফা। আজ শুক্রবার প্রেস ব্রিফিংয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন উয়েফা ম্যানেজিং ডিরেক্টর রবার্টো রোসেতি।
রোসেতি বলেন, ‘প্রক্রিয়াটি ইতিবাচক। রেফারিরা অধিনায়কদের তথ্য দিচ্ছেন। তারাও খুব ইতিবাচকভাবে সাড়া দিচ্ছেন। অন্যান্য খেলোয়াড়দের জন্যও এটি সহজ; তাদের রেফারির কাছে যেতে হয় না; রেফারিকে ঘিরে ধরতে হয় না। এটি এমন আইন, যা ফুটবলের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।’
‘যারা এটিকে সম্মান করে না, আমাদের সেসব খেলোয়াড়দের জন্য কিছু নিষেধাজ্ঞা ছিল। এটি একটি ক্রান্তিকাল। কিন্তু ইতিমধ্যে ইউরোপের জাতীয় দলের অ্যাসোসিয়েশন আমাদের অনুরোধ করেছে আইনটি চালু করার জন্য। তারা আইনটি মানতে চায়’-যোগ করেন তিনি।
উয়েফার অধীনে জাতীয় পর্যায়ে অনেকগুলো টুর্নামেন্ট হয়ে থাকে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- ইউরোিপিয়ান কোয়ালিফায়ার, ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ, উয়েফা ন্যাশনস লিগ ও ফাইনালসিমিয়া ইত্যাদি।
Advertisement
এছাড়া অনেকগুলো ক্লাব প্রতিযোগিতায় উয়েফার অধীনে। সেগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় কয়েকটি হলো- চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরোপা লিগ ও সুপার লিগ ইত্যাদি।
এমএইচ/এএসএম