পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রাইভেটকার উল্টে পাঁচ বন্ধু নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহের জন্য এখন খাটিয়া নিয়ে অপেক্ষা করছেন স্বজনরা। শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে উপজেলার আজমপুর ও ভাড়ইমারী গ্রামে গিয়ে দেখা যায় এ দৃশ্য।
Advertisement
নিহত শিশিরের স্বজন মুকুল হোসেন বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্ত না করে আমাদের কাছে হস্তান্তরের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি। জেনেছি প্রশাসন আবেদন মঞ্জুর করেছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই মরদেহ বাড়ি আনা হবে। তাই দাফনের প্রস্তুতি নিতে কবর খননের কাজ শুরু করেছি।
নিহত সিফাতের দাদা সলেমান প্রামাণিক বলেন, নাতি মারা গেছে। মরদেহ কিছুক্ষণের মধ্যে আসবে। সেজন্য খাটিয়া নিয়ে অপেক্ষা করছি। সিফাতের বাবা নেই। সেও ২০১৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। সিফাতের মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়েছে। তাকে আমিই লালন-পালন করেছি। ছেলের পর নাতির এমন মৃত্যুতে খুব কষ্ট হচ্ছে।
আজমপুর গ্রামের আলী হোসেন বলেন, এ গ্রামের একই সঙ্গে চারজন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। মরদেহ দাফনের প্রস্তুতির জন্য গ্রামের মসজিদের খাটিয়াসহ পার্শ্ববর্তী মসজিদের খাটিয়ে আনা হয়েছে। পুরো গ্রামের মানুষ মর্মাহত। এ গ্রামের চারজনসহ পাঁচ তরুণের মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।
Advertisement
ভাড়ইমারী গ্রামের শাওনের প্রতিবেশী আমজাদ হোসেন বলেন, শাওনের মরদেহের জন্য খাটিয়ে নিয়ে অপেক্ষা করছি। মরদেহ এলেই ধুয়ে খাটিয়ায় তুলে জানাজার জন্য প্রস্তুত করবো। কবর খননের কাজও শুরু হয়ে গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের পাবনা সুগার মিলের সামনে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত হন পাঁচ বন্ধু।
তারা হলেন ঈশ্বরদী উপজেলার জিহাদ হোসেন (১৭), রিয়াদুল ইসলাম শিশির (১৮), সিফাত হোসেন, বিজয় হোসেন (১৯) ও শাওন (১৮)। নিহতদের মধ্যে চালক বিজয় হোসেন ছাড়া বাকি চারজন ঈশ্বরদী টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের ছাত্র।
পাকশী হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বেলাল উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। কিছুক্ষণের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে।
Advertisement
শেখ মহসীন/জেডএইচ/জিকেএস