উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টির কারণে ফুঁসে উঠছে যমুনা নদীর পানি। গত এক সপ্তাহ ধরে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জের পাঁচ উপজেলার ৪০৮ হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। তবে দ্রুত পানি নেমে গেলে ফসলের ক্ষতি অনেকাংশে কমবে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামিনুর ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি জাগো নিউজকে জানান, যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার কাজীপুরে ২৩০ হেক্টর, সিরাজগঞ্জ সদরে ১৬০ হেক্টর, শাহজাদপুরে ১০ হেক্টর, রায়গঞ্জে ৭ হেক্টর ও কামারখন্দ উপজেলার এক হেক্টর ফসলি জমি এরই মধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব জমিতে সবজি, মরিচ, পাট, আউশ ধান, তিল ও বীজতলা ছিল।
সিরাজগঞ্জ পাউবো সূত্র জানায়, দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ০২ মিটার। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মাত্র ৬ ঘণ্টায় ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৯০ মিটার) পানি। এই পয়েন্টে গত ৩০ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৫৮ সেন্টিমিটার।
Advertisement
অন্যদিকে, কাজীপুর মেঘাই পয়েন্টে দুপুর ১২টায় পানি সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৭৪ মিটার। গত ৬ ঘণ্টায় এ পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে (বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ৮০ মিটার) প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে নদী তীরবর্তী সদর, কাজীপুর, চৌহালী, বেলকুচি ও শাহজাদপুর উপজেলার নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।
এম এ মালেক, সিরাজগঞ্জ/জেডএইচ/জেআইএম
Advertisement