তথ্যপ্রযুক্তি

এআই দিয়ে বানানো ছবি লেবেল না দিয়ে ব্যবহার বেআইনি: পলক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে বানানো ছবিতে লেবেল না লাগিয়ে ব্যবহার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা বেআইনি। এমন মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

Advertisement

তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বর্তমানে এআই দিয়ে বানানো ছবির ছড়াছড়ি। কোনটা আসল, কোনটা নকল তা ধরাটা মুশকিল। উচ্চশিক্ষিত ও প্রযুক্তিজ্ঞান থাকা ফেসবুক ব্যবহারকারীরাও এটা ধরতে পারছেন না। এজন্য এআই দিয়ে বানানো সব ছবিতে লেবেল লাগানো জরুরি। লেবেল ছাড়া এ ধরনের ছবি ব্যবহার বেআইনি। আমরা যে এআই আইন করছি, সেখানে এটা থাকবে। সেপ্টেম্বরে এ আইনের খসড়া চূড়ান্ত করবো।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে অনুষ্ঠিত ‘আইসিটি অ্যান্ড মেন্টাল হেলথ’ গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তথ্য ও যোগাযোগ অধিদপ্তরের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), ইউএনডিপি বাংলাদেশ এবং ‘মনের বন্ধু’ এ আলোচনার আয়োজন করে।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমাদের একজন তরুণ স্টার্টআপ আমার একটি অ্যাভাটর তৈরি করেছেন। সেটাকে অ্যাভাটর বলা মুশকিল। ছবি-ভিডিও সবই বানিয়েছেন তিনি। হুবহু আমার মতোই দেখতে, আমার কণ্ঠস্বরে সেও কথা বলছে। এভাবে অনেক সময় নারীদের আপত্তিকর ছবি-ভিডিও বানিয়ে ব্ল্যাকমেইল করছে একটি চক্র। আইনগতভাবে এআইয়ের এ কারসাজি ঠেকাতে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন‘জি-ব্রেইন’ উদ্বোধন, এআই আইনের খসড়া সেপ্টেম্বরেনিঃসঙ্গতা কাটাতে গল্প করতে পারবেন হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তরুণদের অপরাধপ্রবণ করে তুলছে অভিযোগ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তরুণদের মানসিক অসুস্থতার পেছনে সবচেয়ে বেশি দায়ী ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া। তাদের অ্যালগরিদম এমন যে, কেউ হঠাৎ একটা বাজে কনটেন্ট দেখলে একের পর এক তাকে নেতিবাচক কনটেন্ট দেখানো হচ্ছে। এতে শিশু-কিশোররা বিপথগামী হয়ে পড়ছে।

তিনি বলেন, নেগেটিভ এসব কনটেন্ট রুখে দেওয়ার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা আছে। তবে আমরা ইচ্ছা করলেও পুরো পৃথিবীর সব ক্ষতিকর কনটেন্ট রিমুভ করতে পারবো না। ইচ্ছা করলেই সাইবার বুলিং নিশ্চিহ্ন করতে পারবো না। এটা নিয়ে সবাইকে সচেতন ও সোচ্চার হতে হবে।

গোলটেবিল আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন ‘মনের বন্ধু’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী তৌহিদা শিরোপা। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. বুশরা বিনতে আলম, ইউএনডিপির সিনিয়র গভর্নেন্স স্পেশালিস্ট শিলা তাসনিম হক, পিটিআইবির প্রোজেক্ট ম্যানেজার রবার্ট স্টোয়েলমান, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দীন আহমদ প্রমুখ।

এএএইচ/কেএসআর/জেআইএম

Advertisement