ক্যাম্পাস

চতুর্থ দিনের মতো কর্মবিরতিতে ঢাবি কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে সর্বাত্মক আন্দোলনের চতুর্থ দিনেও কর্মবিরতি পালন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চার সংগঠনের মোর্চা ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ’।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন এবং বিভিন্ন বিভাগ ও হলের অফিস ঘুরে দেখা যায়, চতুর্থ দিনেও বন্ধ রয়েছে সব ধরনের দাপ্তরিক কার্যক্রম। বরাবরের মতো আজও সেবা নিতে আসা শিক্ষার্থী ও সাবেক শিক্ষার্থীরা ফিরে যাচ্ছেন অসহায় হয়ে।

এদিকে আজও বেলা ১১টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরপর একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন তারা। প্রশাসনিক ভবনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনেও অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। অবস্থান কর্মসূচি থেকে তারা যেকোনো মূল্যে দাবি আদায়ের কথা জানান।

আরও পড়ুন যারা ‘প্রত্যয়’ স্কিম করলেন তারা কেন এর বাইরে থাকলেন  শিক্ষক-কর্মচারীদের কর্মবিরতি, জবিতে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ 

সমাবেশে ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, আমাদের ওপর প্রত্যয় স্কিমের নামে যে খড়গ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে আমরা সেটি মানি না। সরকারি আমলা, সচিবরা আমাদের উপর তাদের তৈরি করা অন্যায় নীতি চাপিয়ে দিয়েছে। তারা কিন্তু আমাদের বুকের উপর দিয়েই গাড়িতে করে অফিসে যায়। আমাদের দাবি মেনে না নিলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রাস্তা বন্ধ করে দেবো। ফলে তারাও আর আমাদের বুকের উপর দিয়ে অফিসে যেতে পারবে না।

Advertisement

তারা আরও বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করে দেবো। সারাদেশের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাত্মক আন্দোলনের মাধ্যমে সারাদেশ অচল হয়ে যাবে। শিক্ষার্থীদের বলি, আপনাদের হয়তো সাময়িক সমস্যা হচ্ছে কিন্তু এই আন্দোলন আপনাদের জন্যও। আপনারাও একসময় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে যোগ দেবেন। আপনাদের ভবিষ্যতের সুবিধার জন্য আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।

গত ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। প্রত্যয় স্কিম বাতিলের আন্দোলন সফল করার লক্ষ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চারটি সংগঠন মিলে এই ঐক্য পরিষদ গঠন করেছে।

এমএইচএ/এমএইচআর/জিকেএস

Advertisement