ভোট দিচ্ছে যুক্তরাজ্য। আজ (বৃহস্পতিবার) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে সাধারণ নির্বাচনের ভোট শুরু হয়েছে। ১৯৪৫ সালের পর যুক্তরাজ্যে প্রথম বারের মতো জুলাই মাসে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোট চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি ও বিরোধী লেবার পার্টির মধ্যে।
Advertisement
ইতোমধ্যেই বিভিন্ন জরিপের পূর্বাভাস বলছে, নির্বাচনে রেকর্ড ব্যবধানে জয় পেতে যাচ্ছে লেবার পার্টি। অর্থাৎ ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ১৪ বছরের ক্ষমতার দুর্গ ভেঙে দিতে যাচ্ছে লেবার পার্টি।
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে মোট আসন ৬৫০টি। সার্ভেশনসের সেন্ট্রাল সিনারিওর তথ্য অনুযায়ী, লেবার পার্টি ৪৮৪ আসনে জয় পেতে পারে। যা দলটির সাবেক নেতা টনি ব্লেয়ারের আমলের ৪১৮টি আসনে জয়ের থেকেও বেশি।
এক দশকের বেশি সময় ধরে যুক্তরাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি। পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, ক্ষমতাসীন দলটি মাত্র ৬৪ আসনে জয় পেতে পারে। যা হতে পারে দলটি প্রতিষ্ঠার পর সর্বনিম্ন আসনে জয়। ১৮৩৪ সালে কনজারভেটিভ দলের জন্ম হয়। তাছাড়া ডানপস্থি রিফর্ম ইউকে পার্টি জিততে পারে ৭ আসনে।
Advertisement
অন্যান্য এমআরপি বিশ্লেষণে লেবার পার্টির ছোট ব্যবধানে জয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এর আগে রেডফিল্ড ও উইল্টন স্ট্র্যাটিজির জরিপেও লিবার পার্টির জয়ের কথা বলা হয়েছে। যুক্তরাজ্যে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ হয় পাঁচ বছরের। গতবারে, অর্থাৎ ২০১৯ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল কনজারভেটিভ পার্টি।
৪৪ বছরের ঋষি সুনাক কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২০২২ সালে যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী হন তখন তার বয়স ছিল ৪২। আধুনিক সময়ে ব্রিটেনের সবচেয়ে কম বয়সের প্রধানমন্ত্রী সুনাক। অন্যদিকে লেবার পার্টির নেতৃত্বে রয়েছেন স্যার কিয়ের স্টারমার। তার বয়স ৬১ বছর।
স্থানীয় স্কুল এবং কমিউনিটি হলের মতো ভবনগুলোতে স্থাপিত ভোট কেন্দ্রে ভোট দেবেন লাখ লাখ ভোটার। হাউজ অব কমন্সের ৬৫০ জন পার্লামেন্ট সদস্যকে নির্বাচন করবেন প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ ভোটার।
প্রতিটি এলাকা বা নির্বাচনী এলাকার ফলাফল বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠনের জন্য অর্ধেকেরও বেশি আসন অর্থাৎ ৩২৬ আসনে জয়ী হতে হবে।
Advertisement
এবার ৪ হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। বিভিন্ন দল থেকে প্রায় ৩৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন। মে মাসে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক নির্বাচনের ডাক দেন। নিবন্ধিত ভোটার বা একজন ব্রিটিশ নাগরিক বা কমনওয়েলথ বা রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের যোগ্য নাগরিক যার বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি এমন যে কেউ ভোটে অংশ নিতে পারবেন।
২০২২ সালে আইনে পরিবর্তন আনার পর প্রায় ২০ লাখ ব্রিটিশ নাগরিক যারা ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিদেশে বসবাস করছেন তারা ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে সক্ষম হয়েছেন। এটাই প্রথম সাধারণ নির্বাচন যেখানে ইংল্যান্ড, ওয়েলস এবং স্কটল্যান্ডের ভোটারদের ব্যক্তিগতভাবে ভোট দেওয়ার জন্য ফটো আইডি দেখাতে হবে।
টিটিএন