শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, দূষণ মোকাবিলার মাধ্যমে সমুদ্র সুরক্ষায় কার্যকর, উদ্ভাবনীমূলক ও টেকসই সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে। দূষণ সমগ্র পৃথিবীর জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। সরকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থা, বেসরকারি খাত এবং সুশীল সমাজের সম্মিলিত সহযোগিতায় সম্ভাব্য সমাধানসমূহ খুঁজে বের করা ও তা বাস্তবায়নে একসাথে কাজ করতে হবে।
Advertisement
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিশ্ব মহাসাগর দিবস’ উপলক্ষে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ আয়োজিত ‘ওসেইন প্রসপারেটি: ক্যাটালাইজিং ব্লু ইনোনমি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ‘পলুউশন অ্যান্ড ওসেইন হেল্থ’ শীর্ষক ব্রেক-আউট সেশনে সভাপতির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও পন্থা, যথা: বায়োডিগ্রেডেবল উপকরণ ব্যবহার, উন্নত বর্জ্য শোধন ব্যবস্থা এবং সমুদ্র পরিষ্কারের উদ্যোগ প্রভৃতি দূষণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এই ক্ষেত্রগুলোতে গবেষণা ও উন্নয়ন আমাদের সমুদ্র সুরক্ষায় আরও কার্যকর, সুনির্দিষ্ট, অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক ও টেকসই সমাধান খুঁজে পেতে সহায়তা করবে।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ভূপৃষ্ঠের প্রায় ৭০ শতাংশের বেশি স্থান মহাসাগর বা সমুদ্রের অন্তর্ভুক্ত। আমাদের গ্রহের জন্য বাসানুকূল পরিবেশ বজায় ও মানবসভ্যতার অস্তিত্ব সুরক্ষায় সমুদ্রের ভূমিকা অনস্বীকার্য ও অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।
Advertisement
মন্ত্রী বলেন, প্লাস্টিক দূষণ, রাসায়নিক দূষণ, ভারী ধাতুজনিত দূষণ, তেল ছড়িয়ে পড়া এবং সামুদ্রিক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন ধরনের দূষণের কারণে সমুদ্রের সামগ্রিক স্বাস্থ্য বা পরিবেশ মারাত্মক সংকটের মধ্যে রয়েছে।
তিনি বলেন, দূষণ সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের অবনতি করছে, উদ্ভিদ ও প্রাণীর ক্ষতি করছে এবং মানব স্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ফেলছে। এ সমস্যার সমাধানে আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং জরুরি ও সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। তাছাড়া সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হলে সামুদ্রিক দূষণ নিয়ন্ত্রণকে সর্বাগ্রে গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। সেশনটিতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ওশান গভর্নেন্স এর ভিজিটিং প্রফেসর ড. তনিয়া ক্যাপাউনো, চীনের ফার্স্ট ইনস্টিটিউট অভ ওশানোগ্রাফির ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন ডিপার্টমেন্ট এর পরিচালক লি লি চীনের ফার্স্ট ইনস্টিটিউট অভ ওশানোগ্রাফির ল্যাবরেটরি অভ মেরিন সায়েন্স নিউমেরিকেল মডেলিং এর উপ-পরিচালক ড. ডিজেউন ডাই এবং ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এর প্লাস্টিক বর্জ্য বিষয়ক সিনিয়র সার্কুলার ইকোনমি স্পেশালিস্ট জেমস বেকার। অনুষ্ঠানে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিয়ামুল নাসের।
এনএইচ/এমআরএম/এএসএম
Advertisement