শিক্ষা

প্রত্যয় স্কিম বাতিল করে স্বতন্ত্র বেতন স্কেল দাবি

প্রত্যয় পেনশন স্কিম বাতিল করে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।

Advertisement

বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের এই সংগঠনটি। বিবৃতিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৭ জন শিক্ষক স্বাক্ষর করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, গত মার্চে বাংলাদেশ সরকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর ‘প্রত্যয়’ নামে নতুন পেনশন ব্যবস্থা জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ দেশের স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত সব প্রতিষ্ঠানের কর্মীকে এ স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, প্রত্যয় স্কিমের আওতায় এলে কারও স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হবে না এবং বিদ্যমান পেনশন বা আনুতোষিক সুবিধা অক্ষুণ্ণ থাকবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, অন্ততপক্ষে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চাকুরিরতদের ক্ষেত্রে এই বক্তব্য একেবারে নির্জলা অসত্য।

বিবৃতিতে শিক্ষক নেতারা বলেন, অংশীজনের সঙ্গে কোনো আলোচনা-পরামর্শ ছাড়াই এই নতুন পেনশন ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া বর্তমান সরকারের স্বেচ্ছাচারী আচরণের আরও একটি নগ্ন প্রকাশ।

Advertisement

শিক্ষক নেটওয়ার্ক মনে করে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এ এক প্রতারণা, চলমান তুলনামূলক সুবিধাজনক পেনশন ব্যবস্থা থেকে জোরপূর্বক সরানোর চেষ্টা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বভৌমত্বকে সরকারি প্রশাসকদের অধীন করার ষড়যন্ত্র। নতুন পেনশন ব্যবস্থাকে শিক্ষকদের জন্য বৈষম্যমূলক এবং সুবিধাহীন বিবেচনায় বাংলাদেশের ৫৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ১৬ হাজারের বেশি শিক্ষক এবং প্রায় ৩৪ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী এই প্রত্যয় পেনশন স্কিম প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এই দাবির পক্ষে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন। এই দাবির ন্যায্যতা ও প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক প্রত্যয় পেনশন স্কিম চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলনের সঙ্গে পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছে।

আরও পড়ুন বাকৃবিতে অর্থমন্ত্রীর কুশপুতুলে আগুন  তৃতীয়দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে ইবি শিক্ষকরা 

বিবৃতিতে শিক্ষক নেটওয়ার্কের নেতারা বেশ কয়েকটি দাবি জানান। এরমধ্যে রয়েছে শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা ও আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধির জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন করতে হবে। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ শিক্ষার্থী-সহায়তা স্কিম অবিলম্বে চালু করতে হবে।

এমএইচএ/এমএইচআর/জিকেএস

Advertisement