খেলাধুলা

বিশ্বকাপে খেলতে না পারা নিয়ে শরিফুল, ‘কপালে যা লেখা ছিল’

তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও তাওহিদ হৃদয়ের পর এলপিএল খেলতে শ্রীলঙ্কা গেলেন বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। লঙ্কান ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ক্যান্ডি ফ্যালকন্সের হয়ে খেলতে যাওয়ার আগে বিমান বন্দরে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপে এলপিএল প্রসঙ্গের পাশাপাশি তার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একটি ম্যাচও খেলতে না পারা নিয়েও কথা বলেন বাঁ-হাতি এই ফাস্ট বোলার।

Advertisement

এবাদত হোসেন আহত হয়ে মাঠের বাইরে ছিটকে পড়ার আগে থেকেই তাসকিন ও মোস্তাফিজের সাথে জাতীয় দলে তৃতীয় পেসার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন শরিফুল। গত এক বছর সব ফরম্যাটেই ধারাবাহিকভাবে বেশ ভাল বোলিংও করেছেন; কিন্তু বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে হঠাৎ ইনজুরিতে পড়ে মাঠের বাইরে ছিটকে পড়েন।

হাতের আঙ্গুলে বল লেগে তালু আর আঙ্গুল ফেটে ৬ সেলাই দিতে হয়েছে। ধারনা ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে মাঠে নামতে না পারলেও এ বাঁ-হাতি পেসার দ্বিতীয় না হয় তৃতীয় ম্যাচ থেকে ঠিকই মাঠে নামবেন।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর মাঠেই নামা হয়নি তার। শরিফুলের পরিবর্তে যিনি একাদশে জায়গা পেয়েছেন সেই তরুণ পেসার তানজিম সাকিব দুর্দান্ত বোলিং করায় তিনি আর জায়গাই পাননি।

Advertisement

একজন নিয়মিত বোলার হয়েও ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে ছিটকে পড়ে তার জায়গায় দলে ঢোকা পেসারের কারণে আর একাদশে স্থান না পাওয়া কতটা কষ্টের, অতৃপ্তি ও অপ্রাপ্তির এবং হতাশার?

এ প্রশ্নের উত্তরে শরিফুল বলেন, ‘আফসোস বলতে- কপালে যেটা লেখা ছিল, সেটার উপর দিয়ে তো আর কিছু করার নেই। খুব আশা ছিল একটা হলেও ম্যাচ খেলবো। ওখানে একটু কষ্ট লাগা আর কি। এলপিএলে যাচ্ছি, চেষ্টা করবো যেন নিজের সেরাটা দিতে পারি। অনেকদিন থেকে হয়তো ম্যাচ খেলা হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে যেন এখানে ম্যাচ খেলে কামব্যাক করতে পারি।’

শরিফুল যোগ করেন, ‘আমি সব ম্যাচের জন্য তৈরি ছিলাম; কিন্তু টিম কম্বিনেশনে সবাই খুব ভালো করতেছিল। ওখান থেকে হয়তো ম্যাচ পাওয়া হয় নাই।’

এলপিএল ভাল করার আশা জানিয়ে করে শরিফুল বলেন, ‘গত বছর গেছি (এলপিএলে) যখন একটা ম্যাচ খেলেছি। এবারও ইনশা আল্লাহ আশা করছি ভালো কিছু করবো।’

Advertisement

এলপিএলে খেলার সুযোগ পাওয়া প্রসঙ্গে শরিফুল জানান, আগেরবার একটি মাত্র ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন। কারণ, তখন দেশের খেলা ছিল। তার ধারনা, সেজন্য হয়তো ছাড়েনি বিসিবি। তিনি বলেন, ‘এখন তো দেশের খেলা নাই। আমাদের সময়টা ফাঁকা আছে। এজন্য (এনওসি) দিয়েছে বিসিবি।’

তার পাশাপাশি তাসকিন আর মোস্তাফিজও খেলছেন এলপিএলে। এটা কি এক অন্যরকম প্রতিদ্বন্দ্বীতা? শরিফুল তা মনে করেন না, ‘এখানে তো নিজেদের মধ্যে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীতা নাই। আসলে আমরা চেষ্টা করবো সবাই যেন ভালো করে। আমরা যদি ভালো করি, আমাদের নিজেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।’

শরিফুলের অনুভব, এসব ফ্রাঞ্চাইজি আসর খেললে সাহস বাড়ে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলা সহজ হয়ে যায়। নিজের দুর্বলতাগুলোও জানা হয়ে যায়।

তাই মুখে এমন কথা, ‘আফগানিস্তানের খেলোয়াড়রা কিন্তু সব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতেছে। বড় বড় খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেললে হয়তো নিজেদের প্রতি অনেক সহজ লাগে। কারণ তাদের সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেললে দুর্বল পয়েন্টটা জানা যায়।’

এআরবি/আইএইচএস/