স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ওষুধের গুণগত মান নিশ্চিত প্রয়োজন

জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ওষুধের নিরাপত্তা, কার্যকারিতা এবং গুণগত মান নিশ্চিত করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

Advertisement

তিনি বলেন, ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টায় কিছু সাধারণ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে নিম্নমানের ওষুধ, নকল ওষুধ ব্যবহারের ঝুঁকি, ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণু বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য। এসব সমস্যা সমাধানে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বাড়ানো এবং সেবার মানোন্নয়ন প্রয়োজন।

বুধবার (৩ জুলাই) সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সাউথ-ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বার্ষিক সভায় এসব কথা বলেন তিনি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্ক (এসইএআরএন), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর জাতীয় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সাউথ ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের সমাবেশে বক্তব্য দেওয়া আমার জন্য সম্মানের বিষয়। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর এ সমাবেশ আমাদের জন্য একত্রিত হয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় ও ওষুধের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণকে শক্তিশালী করার জন্য একটি মূল্যবান সুযোগ উপস্থাপন করবে।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, সাউথ ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের সঙ্গে একসঙ্গ কাজ করে স্বাস্থ্যখাতের চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবিলায় দক্ষতা, প্রশিক্ষণ ও সম্পদ কাজে লাগাতে পারি।

এছাড়া যৌথ তথ্য আদান-প্রদান, সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ এবং পারস্পরিক সহায়তার মাধ্যমে আমরা আমাদের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে পারি এবং স্বাস্থ্যসেবার ওপর আসা বিভিন্ন হুমকি চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারি।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং তিমুর-লেসতের প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষকরা অংশ নেন।

এএএম/এমএএইচ/এএসএম

Advertisement