ফরিদপুরে বৃক্ষমেলায় ক্রেতাদের নজর কেড়েছে একটি আমের চারা। এই চারাটি এক নজর দেখতে ভিড় করছেন অনেকে। এর দাম হাঁকা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। একটি চারার দাম এত কেন?
Advertisement
আমের চারাটি মেলায় নিয়ে আসা ফরিদপুর নার্সারির ম্যানেজার আফজাল হোসেন জাগো নিউজকে জানান, এটি থাইল্যান্ডের ‘চিয়াং মাই’ জাতের বিদেশি আম। একেকটা আমের ওজন প্রায় ৭০০-৮০০ গ্রাম। এটি এক কেজি পর্যন্ত হয়। এ আমের কেজি চার হাজার টাকা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রহ্মসমাজ রোডে বৃক্ষমেলায় বেশ কয়েকটি নার্সারি স্টল দিয়ে তাদের বিভিন্ন ধরনের চারা বিক্রি করছেন। স্টলগুলোর মধ্যে ফরিদপুর নার্সারির স্টলটিতে রাখা আমের চারাটির দাম বলা হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা।
স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, ফরিদপুর নার্সারি নামের স্টলটিতে আমের চারায় থোকায় থোকায় ঝুলছে রঙিন আম। আমগুলো দেখতে সুন্দর ও লম্বা আকৃতির। এটি মানুষের নজর কাড়ছে।
Advertisement
আমের চারাটি দেখতে আসা মো. শাহিনুজ্জামান খান জাগো নিউজকে বলেন, খবর শুনে বিদেশি জাতের আমগাছ দেখতে এলাম। গাছটি ছোট হলেও আমগুলো বেশ বড়। স্বচক্ষে দেখে ভালো লেগেছে। গাছটি কিনে বাড়ি নিয়ে লাগাতে পারলে ভালো হতো, কিন্তু দাম বেশি।
ফরিদপুর নার্সারির ম্যানেজার আফজাল হোসেন বলেন, শোভারামপুর এলাকার বাসিন্দা ফরিদপুর নার্সারি মালিক আক্কাস হোসেন গাছটি বিদেশ থেকে সংগ্রহ করেছেন। এটি থাইল্যান্ডের ‘চিয়াং মাই’ জাতের আম গাছ। যার বয়স প্রায় তিন বছর। এ আম খেতে খুবই সুস্বাদু ও রসালো। প্রতিটি আম প্রায় এক ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। আমের রং অনেকটাই গোলাপি।
তিনি আরও বলেন, এবছর গাছটিতে প্রায় ২৫-৩০টি আম ধরেছে। আগামীতে আরও বেশি ধরবে। একেকটা আমের ওজন প্রায় ৭০০-৮০০ গ্রাম। এটি এক কেজি পর্যন্ত হয়। এ আমের কেজি ৪ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে এ কারণে চারাটির মূল্য ৫০ হাজার টাকা। মেলায় ফল গাছের মধ্যে এ গাছটির দাম সর্বোচ্চ।
এ বিষয়ে ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, জানামতে থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই এলাকার নামানুসারে এই আমের নামকরণ করা হয়েছে। এ জাতের আম দেশি আমের চাইতে সাইজে একটু বড় হয়। এটা দেখতে সুন্দর ও খেতে মিষ্টি। এ জাতের আমের ফলনও বেশ ভালো।
Advertisement
এন কে বি নয়ন/জেডএইচ/জেআইএম