ক্যাম্পাস

ঢাবিতে শিক্ষক- কর্মচারীদের আন্দোলন চলছেই

সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তৃতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক আন্দোলন চলছে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি)।

Advertisement

বুধবার (৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ভবন ও প্রশাসনিক ভবন ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ ভবনই তালা দেওয়া। যেগুলো খেলা আছে সেগুলোও অনেকটা জনশুন্য। শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা উপস্থিত আছেন তারা কেউই কোনো কাজ করছেন না। ফলে ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে শিক্ষার্থী ও সুবিধা নিতে আসা সাবেক শিক্ষার্থীদের।

আরও পড়ুন:সর্বজনীন পেনশনে চাঁদা দেওয়া ৭৬ শতাংশই দরিদ্রঅর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান আন্দোলনরত শিক্ষকদের‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কোনো আপস নয়’

সকাল ১০টা থেকেই কাজ বন্ধ রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ পালন করছে কর্মকর্তা -কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা তাদের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবির পক্ষে বিভিন্ন বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কর্মকর্তা-কর্মচারী নেতারা অর্থমন্ত্রীকে অবিলম্বে পদত্যাগের দাবি জানান। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিকেল ৫টা পর্যন্ত অবস্থান করবেন বলেও জানানো হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

এ দিকে, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দুপুর ১২টা থেকে কলাভবনের সামনে অবস্থান নেবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতারা।

Advertisement

প্রত্যয় স্কিম চালু

সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামে নতুন স্কিম চালু করার ঘোষণা দেওয়া হয়। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে এ স্কিম কার্যকর হয়েছে।

এমএইচএ/এসএনআর/জেআইএম