ক্যাম্পাস

শিক্ষক-শিক্ষার্থী কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই আন্দোলনে

সর্বজনীন পেনশনে প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন করছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। তারা সর্বাত্মক কর্মবিরতির সঙ্গে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

Advertisement

মঙ্গলবার (২ জুলাই) তাদের সঙ্গে যোগ দেন কর্মচারীরাও। এদিন সহায়ক টেকনিক্যাল কর্মচারী সমতি দিনভর কর্মবিরতির পাশাপাশি পৃথকভাবে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এদিকে, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সর্বাত্মক কর্মবিরতির প্রথম দিন ক্যাম্পাস শিক্ষার্থী শূন্য থাকলেও মঙ্গলবার কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ফলে চতুর্মুখী আন্দোলনে উত্তাল ইবি ক্যাম্পাস।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে প্রশাসন ভবনের নিচ তলায় সকাল ৯টা থেকে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু করেন কর্মকর্তারা। দুপুর ১২টায় তারা কর্মসূচি শেষ করেন। এদিকে, দুপুর ১২টায় অনুষদ ভবনের নিচ তলায় অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকরা। তারা একঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। কর্মকর্তাদের অবস্থান কর্মসূচির মাঝেই পৃথকভাবে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করে সহায়ক টেকনিক্যাল কর্মচারী সমিতি। তারা সাড়ে ১১টায় প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে ক্যাম্পাস ঘুরে একই স্থানে গিয়ে শেষ করেন।

অপরদিকে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মসূচির মাঝেই কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বেলা সাড়ে ১১টায় ডায়না চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে আবারো একই স্থানে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা।

Advertisement

অন্যদিকে কোটা পদ্ধতি বহাল রাখার দাবিতে ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম’ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যরা বেলা ১১টার দিকে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে মানববন্ধন করেন।

চতুর্মুখী বিক্ষোভ কর্মসূচির ফলে ক্যাম্পাসে উত্তাল পরিবেশ বিরাজ করে। তবে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সর্বাত্মক কর্মবিরতির কারণে কোনো ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এতে একাডেমিক এলাকা ছিল শিক্ষার্থী শূন্য। এছাড়া প্রশাসন ভবনের দপ্তরগুলোতেও তেমন কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিমের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এটি শুধু আমাদের জন্যই নয় শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্যও। তাই আমরা শিক্ষার্থীদের বলবো আরেকটু সেক্রেফাইস করে ধর্য ধারণ করতে। আমরা অবশ্যই দাবি আদায়ে সফল হবো।’

মুনজুরুল ইসলাম/এএইচ/এমএস

Advertisement