বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মাধ্যমে ১৫ বছরে দেশব্যাপী ১১ হাজার ৪০২ কিলোমিটার বিভিন্ন শ্রেণির খাল খনন ও পুনঃখনন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ।
Advertisement
তিনি জানান, খাল খনন ও পুনঃখননের মাধ্যমে বিস্তৃত এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন, সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষিজমিসমূহে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এমপি মোশতাক আহমেদ রুহীর এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
এমপি নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মো. আব্দুস শহীদ বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশে এক লাখ ৯৬ হাজার ৭১ মেট্রিক টন ডাল উৎপাদন হয়েছিল এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা প্রায় পাঁচগুণ বেড়ে উৎপাদন দাঁড়ায় ১০ লাখ ৮ হাজার ৪৭ মেট্রিক টন।
Advertisement
দেশে ডালের উৎপাদন বাড়াতে গৃহীত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ডালের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সরকার উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবনের জন্য প্রয়োজনীয় আধুনিক গবেষণা ও উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ কৃষকপর্যায়ে দ্রুত সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দিচ্ছে। যেমন- বর্তমানে চলমান পার্টনার প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্বমানের গবেষণার জন্য মানবসম্পদ উন্নয়ন, আধুনিক গবেষণার সুযোগ-সুবিধা এবং কৃষক পর্যায়ে মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহের জন্য কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, এছাড়া আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্র, মাদারীপুরের উন্নয়ন প্রকল্প ও জিআইএফএস, কানাডার সঙ্গে সহযোগিতামূলক প্রকল্পের মাধ্যমে ডালের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে। দেশে ডালের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে বিএডিসি কর্তৃক ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে ‘নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলায় ডাল ও তৈলবীজ বর্ধন খামার আধুনিকীকরণ এবং চুক্তিবদ্ধ চাষিদের মাধ্যমে বীজ উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ” প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ২০২২-২৩ অর্থবছরে উচ্চফলনশীল জাতের ৫২ মেট্রিক টন ডালবীজ উৎপাদন করা হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, চরাঞ্চল ও অনাবাদি পতিত জমিতে বিভিন্ন ডাল ফসল যেমন- মাসকালাই, খেসারি আবাদে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে চলেছে। বর্তমানে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে, যেখানে ২৮ হাজার ৭৫০টি বিভিন্ন প্রকার ডাল ফসল প্রদর্শনীর মাধ্যমে ১০ হাজার মেট্রিক টন উন্নত মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন সম্ভব হবে।
আইএইচআর/বিএ/এমএস
Advertisement