ক্যাম্পাস

দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে অচল বাকৃবি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি। একই সঙ্গে বাকৃবির কর্মচারীরাও অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন। ফলে অনেকটা অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। কোনো ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে না।

Advertisement

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের করিডোরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। এসময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। শিক্ষকদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে বাকৃবির কর্মচারীরাও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং অর্ধদিবস কোনো দাপ্তরিক কাজে যোগ দেননি।

বাকৃবির শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সরদারের সভাপতিত্বে এবং শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তানভীর রহমানের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে প্রায় শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

বাকৃবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান বলেন, ১ জুলাইয়ের পর থেকে যারা চাকরিতে যোগদান করবেন কেবল তারাই ‘প্রত্যয়’ স্কিমের আওতায় আসবেন। তাহলে বর্তমানে যারা কর্মরত আছেন, তাদের আন্দোলনে যাবার একমাত্র কারণ হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শুধু নিজেদের কথা ভাবেন না, তারা দেশের কথা ভাবেন, দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কথা ভাবেন, তারা চান দেশ এগিয়ে যাক। প্রত্যয় স্কিমের এই বৈষম্যের জন্য মেধাবীরা কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চাইবে না। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে, আন্দোলন চলতেই থাকবে।

Advertisement

বাকৃবির শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে আমরা সর্বাত্মক কর্মসূচি পালন করছি। আমরা ক্লাস-পরীক্ষা কিছুই নিচ্ছি না। দাবি মানা না হলে আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবো। শিক্ষার্থীদের ক্ষতিও পুষিয়ে দেবো আমরা। প্রয়োজন হলে অনলাইনে ক্লাস নিয়ে এবং বন্ধের দিনে ক্লাস নিয়ে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দেবো।

৩০ জুন বাকৃবির শিক্ষকরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যান। এরই ধারাবাহিকতায় ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন শুরু হয়।

আসিফ ইকবাল/জেডএইচ/এএসএম

Advertisement