ধর্ম

কুরআনের বিধি-বিধানেও ইয়াহুদিদের আপত্তি

আল্লাহ তাআলা কুরআনের কিছু বিধানকে পরিবর্তন করে নতুন বিধান অবতীর্ণ করেছেন। যেমন পূর্বের আয়াতে রায়িনা শব্দকে উনজুরনা শব্দ দ্বারা পরিবর্তন করেছেন। এর ফলে তারা ইয়াহুদিরা বলতে লাগলো যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর অনুসারীদেরকে একবার এক হুকুম করে আবার তা করা থেকে বারণ করে এবং নবুয়তের সত্যতার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করে। তাদের দাবি, তাওরাতে আল্লাহ যা বলেছেন, তার সবটুকুই খাইর বা কল্যাণকর। যদি তাই হয়, তবে তা রহিত হবে কেন? তাদের কথার দাবি প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন-‘আমি কোনো আয়াত রহিত করলে অথবা ভুলিয়ে দিলে তার চেয়ে উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত প্রেরণ করে থাকি। (হে রাসুল!) আপনি কি জানেন না যে, আল্লাহ সব কিছুর ওপর শক্তিমান? আপনি কি জানেন না? যে, নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহ তাআলার জন্য। এবং তোমাদের জন্য আল্লাহ তাআলা ব্যতিত অন্য কোনো রক্ষক ও সাহায্যকারী নেই।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১০৬-১০৭)এ আয়াত নাজিলের কারণ প্রসঙ্গে আল্লামা আলুসি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘যখন পৌত্তলিক বা ইয়াহুদিরা কটাক্ষ করে বলেছিল যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আজকে এক কথা বলেন, কাল আরেক কথা বলেন, আর কুরআন যদি সত্যিই আল্লাহর কালাম হতো, তবে তাতে এতো পরিবর্তণ হয় কেন? আবার কুরআনের আদেশ রহিত হয় কেন?অবিশ্বাসী ও আহলে কিতাবের অনুসারীদের প্রশ্নের জবাবে আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাজিল করেন। কেননা আল্লাহ তাআলা সবকিছু শুনেন, সবকিছু জানেন। পৃথিবীর সবকিছু তাঁর সম্মুখে সুস্পষ্ট, কোনো কিছুই তার নিকট গোপন নেই। মানুষের অস্থা, তার প্রয়োজন, তার পরিবেশ, যোগ্যতা, উন্নতি-অবনতি এক কথায় সকল কিছুই তার নখদর্পনে।যেহেতু আল্লাহ তাআলা একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী। মানুষ তাঁরই সৃষ্টি এবং পৃথিবীতে তাঁরই প্রতিনিধি, তাই মানুষের প্রতি তাঁর দান ও নিয়ামাত সর্বাপেক্ষা বেশি। আর মানুষের কল্যাণ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলাই সর্বাধিক জ্ঞাত। সুতরাং মানুষের কল্যাণে আল্লাহর ইখতিয়ারে মানুষের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই। তাঁর ক্ষমতা সর্বত্র বিদ্যমান।আল্লাহ তাআলা যা আদেশ করেছেন এবং যা নিষেধ করেছেন তা মেনে চলাই মুসলিম উম্মাহর একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। আল্লাহ সবাইকে তাঁর বিধি-বিধানে পালনের তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/পিআর

Advertisement