অভিনেতা আশীষ খন্দকার নাট্য পরিচালক হিসেবেও সফল। মঞ্চ থেকে উঠে আসা খ্যাতিমান এই শিল্পী মঞ্চ নাটক নির্দেশনা দিয়ে আসছেন অনেকদিন ধরে। দীর্ঘ বিরতির পর আবারও ঢাকার মঞ্চে নাটক নির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি।
Advertisement
তার নির্দেশনায় আগামী ১১ জুলাই, সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে বিখ্যাত ফরাসি নাট্যকার মলিয়ের লেখা ক্ল্যাসিক্যাল কমেডি দ্য স্কুল ফর ওয়াইভস (বউদের পাঠশালা) ২২ তম শো মঞ্চস্থ হবে। মাইলস ম্যালসনের ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলা রূপান্তর করেছেন আশীষ খন্দকার।
বউদের পাঠশালা নাটকের গল্প নিয়ে জানতে চাইলে আশীষ খন্দকার জানান, নাটকে দেখা যাবে জনবহুল প্যারিসের চৌরাস্তার মোড়, আর্নোলফির বাড়ি। কয়েকদিন পর ধনী বুড়ো তার বাসায় ফিরে আসে। এরই মধ্যে সে তার ছদ্ম নাম রেখেছে ‘লা সুচি’।
শিশু বয়স থেকে পালিত আগনিসকে বিয়ে করার ব্যাপারে মনস্থির করে। অনভিজ্ঞ আগনিস, যখন তার বয়স ছিল ছয় বছর, তখন থেকেই বুড়ো আর্নোলফি তার সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরি করতে ও নিজের জীবনের সঙ্গে জড়াতে স্বপ্নবিলাসী হয়। বাধিত বউদের মতো আগনিসকে সে শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে প্রয়াসী হয়। হঠাৎ করে আর্নোলফি তার পুরোনো বন্ধু ওরেন্টোর ছেলে হোরেসকে দেখে আনন্দে আপ্লুত হয়ে ওঠে।
Advertisement
যুবক হোরেস তার বাবা ওরেন্টোর আসার আগেই প্যারিসে চলে আসে, আর্নোলফির অনুপস্থিতিতে আগনিসের সঙ্গে তার দেখা হয়। হোরেস জানে না, এ সেই ছদ্মবেশী ‘লা সুচি’ যে কি না তার বাবার পুরোনো বন্ধু আর্নোলফি। হোরেস আগনিসের সঙ্গে বাঁধনহারা প্রণয় রচনা করে।
আরও পড়ুন:
‘আমাকে আসামি করা হয়েছে’ সংবাদ সম্মেলনে বললেন নায়িকা ববি মঞ্চকথার আয়োজনে রতন সিদ্দিকীর একক বক্তৃতাঘটনাচক্রে হোরেস আর্নোলফির কাছেই আগনিসকে পেতে সাহায্য প্রার্থনা করে। আর্নোলফি আগনিসের কাছে জানতে চায় যে তার অনুপস্থিতিতে এক যুবক এ বাড়িতে আসে কিনা এবং আগনিসের সঙ্গে প্রণয় রচনা করে কিনা। আর্নোলফি আগনিসকে বলে, সে যা করছে সেটা হলো যৌবনের অপব্যবহার। সে আগনিসকে তার আচরণের দিকে মনোযোগী হতে বলে। আগনিস শুধু আর্নোলফিকেই বিয়ে করবে।
আর্নোলফি আগনিসকে ‘বই’ দেয় এবং শিক্ষা নিতে বলে। কীভাবে বউয়েরা স্বামীর অনুগত থাকবে। কিন্তু আগনিসও জিদ ধরে সে হোরেস্কে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করবে না। কি হবে এর চাওয়া-পাওয়ার দ্বন্দ্বের সমাধান সেটি জানতে দেখুন এই নাটকের মঞ্চায়ন।
Advertisement
এভাবেই এগিয়ে যাবে বউদের পাঠশালার গল্প। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন মোহাম্মদ আমিন, তোতো তিমথীয়, আবুল ফজল, পারভেজ রানা, কিংশুক খান, ইফতেখার পলাশ, মানিসা অর্চি ও সংগীত বাড়ৈ। শিল্প নির্দেশনায় আছেন সংগীত বাড়ৈ।
এমআই/এমএমএফ/এএসএম