দেশজুড়ে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে একটিমাত্র টিউবওয়েল, পানির জন্য ভোগান্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে সেবা নিতে আসেন প্রায় তিন হাজার রোগী। এসব রোগী ও তাদের স্বজনদের ভুগতে হয় পানি সংকটে। কেননা হাসপাতালটির বিশুদ্ধ পানির উৎস একটিমাত্র টিউবওয়েল। শুধু হাসপাতাল নয়, এই টিউবওয়েল থেকে পানির চাহিদা মেটান আশপাশের মার্কেটের লোকজন। ফলে টিউবওয়েলটিতে ভিড় থাকা নিত্যদিনের চিত্র।

Advertisement

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রতিদিন ৫০০-৬০০ জন ও বহির্বিভাগে প্রায় দেড় হাজার রোগী সেবা নেন। ভর্তি থাকেন তিন শতাধিক। রোগীদের সঙ্গে থাকেন স্বজনরাও। বিশুদ্ধ পানির জন্য তাদের নির্ভর করতে হয় একটিমাত্র টিউবওয়েলের ওপর। কেননা হাসপাতালের ভেতরে ও চত্বরে লাইনের পানি থাকলেও তা পান করার উপযোগী নয়। কাপড়-চোপড় ও থালা-বাসন ধোয়ার কাজে ব্যবহার করা হয় এই পানি। এতে টিউবওয়েলটির ওপর চাপ বাড়ছে।

হাসপাতালের ভেতরে আব্দুল্লাহ কনফেকশনারির পরিচালক জামাল উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘হাসপাতাল চত্বরে একটি টিউবওয়েল ছিল। সেটা নষ্ট হয়ে দীর্ঘদিন পড়ে ছিল। কেউ মেরামত করেননি। তখন হাসপাতালে আসা সেবাপ্রার্থীদের পানির জন্য ভুগতে হতো। এই অবস্থা দেখে আমার বাবা নিজ উদ্যোগে টিউবওয়েলটি এখানে স্থাপন করেন। প্রতিদিন হাজারো মানুষ টিউবওয়েল থেকে পানি নিয়ে তাদের প্রয়োজন মেটান।’

টিউবওয়েলটি থেকে পানি নিতে আসা তুহিন আহমেদ নামের একজন বলেন, ‘তিনদিন ধরে ভর্তি রোগী নিয়ে হাসপাতালে আছি। প্রথমদিন বাইরের দোকান থেকে পানি কিনে এনেছি। পরেরদিন হাসপাতালের টিউবওয়েলটি খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পরে একটিমাত্র টিউবওয়েল পাওয়া গেছে। তাও পানি নিতে মানুষের দীর্ঘ লাইন।’

Advertisement

রোগীর স্বজন আরিফ আহমেদ বলেন, ‘এত বড় হাসপাতালে পানি পানের জন্য একটিমাত্র টিউবওয়েল। সবসময় মানুষের চাপ থাকে। আরও কিছু টিউবওয়েল স্থাপন করা হলে সেবাপ্রার্থীদের জন্য সুবিধা হতো।’

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (চলতি দায়িত্ব) রতন কুমার ঢালি বলেন, বিশুদ্ধ পানির চাহিদা মেটাতে হাসপাতালে আরও একটি টিউবওয়েল স্থাপন করা হবে।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/এমএস

Advertisement