সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া মডেল মসজিদ ও ইসলামি সংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণে আর্থিক ক্ষতির কারণ দেখিয়ে সরে গেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঢাকার মোহাম্মদপুরের ফার্স্ট এসএস কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানটি গত চার বছরে নির্মাণকাজ বলতে কেবল মাটি ভেদ করে পিলার তুলে মসজিদটির অস্তিত্ব জানান দিতে পেরেছে।
Advertisement
এ পিলার নির্মাণ নিয়েও হয়েছিল ব্যাপক অনিয়ম। মডেল মসজিদটি নির্মাণের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় ১১ কোটি ৬৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়। যেটি বাস্তবায়ন করছে সিরাজগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগ।
সিরাজগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমাদুল হাসান জাগো নিউজকে জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আর্থিক ক্ষতি দেখিয়ে একটি লিখিত আবেদন করেছিল। পরে সেটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হলে তা মঞ্জুর করা হয়। একইসঙ্গে বাকি কাজের জন্য পুনরায় দরপত্র আহ্বানের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। চলতি জুলাই মাসের মধ্যে এর দরপত্র আহ্বান করা হবে।
গণপূর্ত বিভাগ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানায়, ২০১৯ সালের ১৩ জুন কাজটি শুরু করার অনুমতি পায় ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে জায়গা সংক্রান্ত কিছুটা জটিলতা কাটিয়ে মসজিদ নির্মাণের জায়গা নির্ধারিত হয় পৌর বাস টার্মিনাল এলাকায়। এসব করতেই কাজের মেয়াদ প্রায় শেষ হয়ে যায়। পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মসজিদ ভবনের মূল কলাম ঢালাইয়ের কাজ করে। এরই এক পর্যায়ে বৃষ্টি হলে মাটি সরে বেরিয়ে আসে আঁকা-বাঁকা পিলার।
Advertisement
গত ৩ এপ্রিল ‘বৃষ্টিতে বেরিয়ে এলো মডেল মসজিদের আঁকা-বাঁকা পিলার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে জাগো নিউজ। পরে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে নির্মাণাধীন মসজিদ ভবনটি পরিদর্শন করেন। এ সময় তার দৃষ্টিতেও কলাম তৈরির ত্রুটি ধরা পড়ায় তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত কমিটি বাঁকা পিলারগুলো ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করার নির্দেশ দেন।
এ প্রসঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট এসএস কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু সাদেক জাগো নিউজকে বলেন, কাজের শুরুতেই কিছু ভুলের কারণে বেজ ঢালাই ও ২৫টি পিলার ভেঙে ফেলে নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। এতেই অনেক ব্যয় হয়েছে। এসব কারণে ওই সাইটের সব মালামাল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এম এ মালেক/এফএ/এএসএম
Advertisement