এক.অল্প কথার গল্প
Advertisement
জীবনের কোনো কোনো গল্প কেউ শুনতে না চাইলেও জোর করে শোনাতে হয়আবার কোনো কোনো গল্প অল্প করেও কাউকেই শোনানো যায় না এই গল্প লুকাবার, শুধুই যত্ন করে লুকাবার।
জীবনের কোনো কোনো ইচ্ছা পোড়ে, অবিরাম পোড়ে কোনো কোনো ইচ্ছা প্লাবনে প্লাবনে ভেসে যায়ভাসতে ভাসতে কোথায় যেন হারিয়ে যায় খণ্ড খণ্ড ইচ্ছাগুলো কখনো দারুণভাবে জাগায়কখনো কখনো ভাবজগতে নিয়ে যায় কিছু কিছু ইচ্ছা তোমার দিকে আকুল প্রত্যাশায় ছুটে যায়।
যাপিত জীবনে কখনো কখনো কষ্টকাতরইচ্ছাগুলোর ভেতরও আনন্দ অনর্গল কথা বলে জীবনের সব ক্ষত দৃশ্যমান নয়কান্নার শব্দও সব সময় শোনা যায় না কখনো কখনো স্বপ্ন কেনার আমির খুঁজতে গিয়ে ইচ্ছাগুলোয় রং মেশানোর আবিরের সন্ধান পাই।
Advertisement
স্বপ্নের ভেতর বসত আমার, স্বপ্নই বাড়িঘর দুঃস্বপ্নের গ্রাস থেকে বাঁচতে নাকি স্বপ্ন দেখতে হয় আর ছুঁয়ে থাকা ভুলের ফুলগুলো স্পর্শ করেফিরে ফিরে অমল-ধবল শুদ্ধ হয়ে উঠিসব কিছুরই শেষ আছে শুধু মানুষের অধিকারের শেষ নাই।
দুই.কেটে যায় সব আঁধার
তুমি আছ বাহুর বন্ধনে, হৃদয় স্পন্দনেতুমি আছ সর্বব্যাপী আনন্দ-উল্লাসেতুমি আছ সব সফলতার গণ্ডি পেরিয়ে আরও সম্ভাবনার দিকেতুমি আছ শ্রমে-ঘামে নিরন্তর সংগ্রামে।
তুমি আছ চাঁদ আর সূর্যালোকেতুমি সর্বজয়ী, আছ সকল দুঃখ-কষ্ট অবসানেতুমি আছ দর্পণে, কারণ আমি কাঁদলে তুমিও কাঁদোতুমি আছ শব্দের মিছিলে-মিছিলে।
Advertisement
তুমি আছ সুরভিত দেবী ছন্দে, বজ্রাসনেতুমি আছ মায়াবী হরিণীর চোখের তৃষ্ণায়তুমি আছ মুক্তির স্বপ্নে সম্মুখ সমরেতোমার পথের দিকে তাকালে কেটে যায় সব আঁধার।
তিন.বহুমাত্রিক জ্যোতির্ময়ী
পুরুষতান্ত্রিক সমাজ তোমার নাম দিয়েছে অর্ধাঙ্গিনীমিছিলে মিছিলে তোমার পায়ের ধুলা হয়ে আমি তোমার নাম দিয়েছি শ্রেষ্ঠাঙ্গিনী।
তোমাকে পাওয়ার পর দীর্ঘ পরমায়ুর প্রত্যাশা বেড়ে যায়তোমার সবুজ জমিনে পাথরচাঁপা সাদা কষ্ট নিংড়েআমিও পেয়েছি দুঃখ উদযাপনের শক্তিভালোবাসার বিস্তীর্ণ আকাশ দিয়েছএবার কিছু নান্দনিক কষ্ট দাও।
বড্ড অকিঞ্চিৎকর লোক আমিআমার স্বপ্নের স-এর নিচে ব-ফলা নেইসব মর্মস্পর্শী গল্পই উৎকৃষ্ট মনে হয় আমার কাছেএত ভালোবাসা শুধু লাজুক ও ঋণীই করেনিজীবনের নানা মেরুকরণের সমীকরণে জেনেছিতুমি বহুমাত্রিক জ্যোতির্ময়ী।
এইচআর/জেআইএম