সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব আইন অনুযায়ী দাখিল ও ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদনের বিষয়ে মঙ্গলবার (২ জুলাই) শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
Advertisement
ৎহাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিটটি শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
এর আগে সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব আইন অনুযায়ী দাখিল ও ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস রোববার (৩০ জুন) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন।
আরও পড়ুনসরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দাখিল ও প্রকাশ চেয়ে রিটরিটে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন, বিচারক ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
Advertisement
রিটকারি আইনজীবী ছিলেন সুবীর নন্দী দাস বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব আইনে উল্লেখিত যথাযথ নিয়মে কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিলের পাশাপাশি ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করেছি। আজ এই রিটের শুনানি হবে।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের সম্পত্তির বিবরণীর নিদের্শনা চেয়ে পিআইএল (পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন) করার অনুমতি চেয়ে রোববার( ৩০ জুন) আবেদন করেন আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস। পরে আদালত রিট করার অনুমোদন দেন।’
আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রদান ও প্রকাশের জন্য রিটটি দায়ের করে নির্দেশনা চেয়েছি। কারণ হলো সম্প্রতি আমরা দেখছি যে সরকারের কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিপুল পরিমাণ সম্পদ থাকার তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা কীভাবে এত বিপুল সম্পদ অর্জন করেন, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছি।’
আইনজীবী আরো বলেন, ‘সরকারের একটি কন্ডাক্ট রুল আছে। এ নীতি অনুযায়ী কোনো সরকারি কর্মকর্তা সরকারের অনুমতি ছাড়া বিনিয়োগ, ধার কিংবা ভবন পর্যন্ত নির্মাণ করতে পারেন না। এছাড়া চাকরিতে নিয়োগের শুরুতে তাদের সম্পদ বিবরণীর পাশাপাশি প্রতিবছর সম্পদের হিসাব জমা দিতে হয়।’
Advertisement
সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯-এর ১১, ১২ ও ১৩ বিধিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের বাধ্যবাধকতার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু আইনের এ নির্দেশনা মানছেন না বেশির ভাগ সরকারি চাকরিজীবী।
সম্প্রতি সরকারের উচ্চপদস্থ একাধিক কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মূলধারার গণমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এর মধ্যে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের নামও রয়েছে। এ দুই কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। এরই মধ্যে দুজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছেন আদালত।
এফএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম