যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।
Advertisement
রোববার (৩০ জুন) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। একইসঙ্গে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ছাত্রসমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন কমিটি গঠন করার উদ্যোগ নিয়েছে ছাত্রলীগ। কমিটিতে পদপ্রত্যাশীদের ১-৭ জুলাইয়ের মধ্যে (প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা) ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা প্রসঙ্গে জানতে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি-সম্পাদক ও যবিপ্রবি ক্যাম্পাস শাখার সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি-সম্পাদকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Advertisement
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ৩১ জুলাই তৎকালীন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ সোহেল রানাকে সভাপতি ও তানভীর ফয়সালকে সাধারণ সম্পাদক করে যবিপ্রবিতে একবছরের জন্য ১১ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করে। কমিটির দুই বছর পার হলেও পূর্ণাঙ্গ করতে পারেনি সোহেল- তানভীরের নেতৃত্ব। বরং সভাপতি-সম্পাদক বারবার সংগঠনের বিশৃঙ্খলামূলক কর্মকাণ্ড করে নীতিবাচক সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। ২০২৩ সালে সভাপতি ও সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ সই করা এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করা হয়। পরে গত ১১ নভেম্বর আরেকটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় কমিটি। সবশেষ চলতি বছরের ৪ জুন রাতে যবিপ্রবির আবাসিক শিক্ষার্থী শাহরীন রহমান প্রলয়কে (২৪) তুলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ছাত্রাবাসে ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানার (৩০৬ নম্বর) কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। সভাপতির উপস্থিতিতে রাতভর নির্যাতনের পর ওই শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তদন্তে ঘটনার সম্পৃক্ততার কারণে গত ২৫ জুন নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ১০০তম (বিশেষ) সভায় ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ৯ জনকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া চারজনের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নিতে সিদ্ধান্ত হয়।
মিলন রহমান/এসআর/জেআইএম
Advertisement