দুই দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
Advertisement
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দাবিতে তারা এ কর্মবিরতি পালন করছেন।
সোমবার (১ জুন) সকাল থেকেই এই কর্মবিরতি কর্মসূচি শুরু করেন তারা। তবে বিশেষ ব্যবস্থায় জরুরি বিদ্যুৎ সেবা চালু রয়েছে।
তাদের অভিযোগ, দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দ্বৈত নীতির কারণে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
Advertisement
একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবী, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত এসব কর্মীরা। বিআরইবির অদক্ষতা ও নিম্নমানের সামগ্রীর কারণে গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
আরও পড়ুন>
সোনারগাঁ পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমের স্বেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ঠ গ্রাহকরাতাদের দাবি, স্মার্ট ও টেকসই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিনির্মানে আরইবি-পিবিএস একীভূত করণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন করতে হবে। ভবিষ্যতে বিদ্যুত ব্যবস্থা সচল রাখতে এবং গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নের জন্য সব চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিত করতে হবে।
এর আগে রোববার (৩০ জুন) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির কথা জানিয়েছিলেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম প্রকৌশলী রাজন কুমার দাস। তিনি বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে চলতি বছরের ৫ মে থেকে কর্মবিরতি পালন করেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। সমস্যা সমাধানে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচনায় বসবে বিদ্যুৎ বিভাগের এমন আশ্বাসে কাজে ফিরে যান তারা। বিদ্যুৎ বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিরি ৩৭ হাজার ৫৪২ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর স্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি বিদ্যুৎ বিভাগসহ বিআরইবিতে জমা দেওয়া হয়। যেখানে বোর্ডের প্রতি অনাস্থা জানানো হয়।
Advertisement
১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচনায় বসার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নেওয়া হয় নাই এবং সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাসপেন্ড, সংযুক্ত ও স্ট্যান্ড রিলিজে যারা আছেন সবাইকে এক সপ্তাহের মধ্যে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও সাসপেন্ড দুইজন ও স্ট্যান্ড রিলিজ দুইজনকে এখনো অব্যাহতি দেওয়া হয় নাই।
এনএস/এসআইটি/এএসএম