জাতীয়

১০ বছরে বিমানের বহরে নতুন ৩২ এয়ারক্রাফট যুক্ত হবে

রুট সম্প্রসারণ ও যাত্রীর চাপ বিবেচনায় রেখে আগামী ১০ বছরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে আরও ৩২টি এয়ারক্রাফট যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. জাহিদুল ইসলাম।

Advertisement

তিনি বলেন, এই চাহিদা মেটাতে ইউরোপীয় বহুজাতিক উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের কাছ থেকে সক্রিয়ভাবে এয়ারক্রাফট কেনার চিন্তাভাবনা চলছে।

রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরে বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকা ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

জাহিদুল ইসলাম ভূঞা বলেন, আমরা দেখছি ২০৩৫ সালের মধ্যে রুট সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিমানের মোট ৪৭টি উড়োজাহাজের প্রয়োজন। বর্তমানে বিমান বহরের ২১টি উড়োজাহাজের মধ্যে ৬টি ফেজ আউট হবে। সেজন্য আরও ৩২টি উড়োজাহাজ পারচেজ (ক্রয়) অথবা লিজের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।

Advertisement

আরও পড়ুনআসন ফাঁকা রেখে বিমান উড়বে না: নতুন এমডির চ্যালেঞ্জযুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিমান চলাচল সহযোগিতায় গুরুত্বারোপ

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিমান এমডি বলেন, এয়ারবাসের সঙ্গে বিমানের আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। বোয়িংও বিমানকে তাদের উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। বোয়িংয়ের প্রস্তাব রিভিউ করবো। আমাদের দুটিরই প্রয়োজন আছে।

গত অর্থবছরে বিমান তার বহরে থাকা ২১টি উড়োজাহাজ (এয়ারক্রাফট) দিয়ে ৩২ লাখ যাত্রী পরিবহন করেছে এবং এই সময়ে সংস্থাটি ১০ হাজার কোটি টাকা আয়ের মাইলফলক অর্জন করেছে। এ বছর আয় আরও বাড়বে– এমন আশাবাদ জানিয়ে জাহিদুল বলেন, কার্গো থেকে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা আয়ের আশা করছি। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের আইএসও সার্টিফিকেশন পেলে এটি বিশাল অর্জন হবে। বিভিন্ন বিভাগ থেকেই আমরা ভালো করছি।

তিনি বলেন, বিমান মিডিয়াম রিস্ক ক্যাটাগরি থেকে লো রিস্ক ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। তাছাড়া বিমান দুটি ৭৭৭ উড়োজাহাজের পুরো অর্থ পরিশোধ করেছে। আরও দুটিরও শোধ হওয়ার পথে।

এমএমএ/ইএ/জেআইএম

Advertisement