ক্যাম্পাস

শিক্ষাখাতে বাজেট জিডিপির ৬ শতাংশ করার পরামর্শ ইউজিসি চেয়ারম্যানের

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়ন ছাড়া এই লক্ষ্য অর্জন করা কঠিন। এছাড়াও ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়ন ও কৌশলগত লক্ষ্য বাস্তবায়নে শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দ মোট জিডিপির ৬ শতাংশ করার পরামর্শ দেন তিনি।

Advertisement

শনিবার (২৯ জুন) সকালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে ইউজিসির বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) কমিটি আয়োজিত ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন: চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণ’ শীর্ষক নলেজ শেয়ারিং কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, উচ্চ শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে হলে দক্ষ শিক্ষকের প্রয়োজন। দেশকে এগিয়ে নিতে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। দেশের সাধারণ মানুষকে সচেতন করার একমাত্র মাধ্যম হলো শিক্ষা। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো শিক্ষার মানোন্নয়নে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। একটি শিক্ষিত ও আদর্শ জাতি গঠনে শিক্ষার প্রতিটি স্তরে সমান গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। প্রকৃত শিক্ষা, উচ্চমানের গবেষণা নিশ্চিত করতে পারেন একমাত্র একজন আদর্শ শিক্ষক এবং একইসঙ্গে একজন শিক্ষার্থীকে আদর্শ মানুষ ও দেশের সম্পদ হিসেবেও গড়ে তুলতে পারেন ওই শিক্ষক।

ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন অধাপক ড. গোলাম রাব্বানী। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ মো. অলিউল্লাহ, ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতার, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলামসহ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি) ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) শিক্ষক ও কর্মকর্তাসহ ইউজিসির ২৪ জন কর্মকর্তা।

Advertisement

কর্মশালায় বিভিন্ন সেশনে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিএ কার্যক্রম যথাক্রমে তুলে ধরেন বাকৃবি, জাককানইবি ও বশেফমুবিপ্রবির শিক্ষকবৃন্দ। কর্মশালা শেষে ইউজিসির প্রতিনিধি দল বাকৃবির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ পরিদর্শন করেন।

আসিফ ইকবাল/এফএ/এমএস