দেশজুড়ে

শর্ট সার্কিট থেকে আগুন, পুড়ে ছাই ৯ মালিকের ১৭ ঘর

কুড়িগ্রামের পুরান পোস্ট অফিস পাড়ায় শাহাজাহান মিয়ার ঘরে শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আগুনে পুড়ে গেছে ৯ জন মালিকের ব্যবসায়িক মালামালসহ ১৭টি ঘর। প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

Advertisement

শুক্রবার দিনগত মধ্যরাতে জেলা শহরের পুরান পোস্ট অফিস পাড়ায় শাহাজাহান মিয়ার ঘরে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা মুহূর্তেই পাশে লাগোয়া সোহেল মিয়া, ফাতেমা বেগম, বদিউল্লাহ, কামাল মিয়া, বিপ্লব মিয়া, কোহিনুর বেগম, রাবেয়া বেগম ও নুরজাহানের ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পুড়ে গেছে ঘরে থাকা আসবাবপত্র, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, কসমেটিকসসহ ব্যবসায়িক মালপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সমিত চক্রবর্তী বলেন, আমি ব্যবসায়িক কাজ শেষে একটু বাইরে গিয়েছিলাম। পরে এসে দেখি সেচ পাম্পের মোটর চলছে না। তা আমি সুইস বন্ধ করে দেই। একটু পর সেচ পাম্পের ওখানে ধোঁয়া বের হতে দেখি। পরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে সব রুমে। আমার তিনটি রুমে থাকা বিভিন্ন মালামাল, নগদ টাকা, ফ্রিজ ও আসবাপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, আমরা ছয়টি কোম্পানির সঙ্গে ডিলারশিপের ব্যবসা ছিল। সব মালামাল পুড়ে শেষ। শুধু নিজের জীবন নিয়ে আমরা বের হয়েছি। এখন আমরা পথে বসে গেলাম।

কামাল মিয়া নামের একজন বলেন, আমার তিনটি রুমে থাকা দুটি এলইডি টেলিভিশন, দুটি বক্সখাট, ফ্রিজ, সাতটি ফ্যানসহ রুমে থাকা সব পুড়ে শেষ। পরনের পোশাক ছাড়া কিছুই উদ্ধার করতে পারিনি।

কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শরিফুল ইসলাম জানান, ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। আমরা খবর পাওয়ামাত্র দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। ৯ জন মালিকের ১৭টি ঘর পুড়ে গেছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুশফিকুল আলম হালিম বলেন, ৯ ব্যক্তির ১৭টি ঘর পুড়ে গেছে। এই পরিবারগুলোর মধ্যে এক পরিবারে এসএসসি পরীক্ষার্থী আছে তার মেয়ের বই, খাতা ও জামাকাপড় পুড়ে গেছে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তার সবকিছুর ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কেন না আগামীকাল তার পরীক্ষা। এছাড়াও অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সরকারিভাবে সহায়তা করতে যা করণীয় তা করা হচ্ছে।

Advertisement

ফজলুল করিম ফারাজী/এমআরএম