জাতীয়

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯০ শতাংশ দুর্নীতির দিকে

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯০ শতাংশ দুর্নীতির দিকে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ লোক ভালো থেকে কী হবে- এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি।

Advertisement

শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে অর্থবিল ২০২৪ এর সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এ অভিযোগ করেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কাস্টমসে যারা চাকরি করেন তাদের প্রত্যেকের ঢাকা শহরে দুইটা-তিনটা বাড়ি। বনবিভাগে যারা চাকরি করেন তাদের দুইটা-তিনটা করে সোনার দোকান। প্রধানমন্ত্রী যদি পদক্ষেপ নেন তাহলে দুর্নীতি রোধ করতে পারবো। না হলে যে হারে লাগামহীনভাবে বড় বড় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্নীতি করছেন, আমরা কী করবো? আমরা অসহায়। অনেক সরকারি কর্মকর্তা আছেন তারা অসহায়। কারণ এখানে ৯০ শতাংশ লোকই ওইদিকে (দুর্নীতি), ১০-১৫ শতাংশ লোক ভালো থেকে কী করবে?

আরও পড়ুনদুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে: প্রধানমন্ত্রীকালো টাকা সাদা করতে ৫০ শতাংশ করের বিধান চান জিএম কাদের

তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় আমার কী পরিমাণ সম্পদ আছে তা হলফনামায় দিয়ে থাকি। পাঁচ বছর পরে নির্বাচনে আবার হলফনামা দেই। সেখানে সম্পত্তি কত বাড়লো, একশগুণ না পাঁচশগুণ বাড়লো তা পত্রিকায় নিউজ হয়। আমাদের আমলনামা চলে আসে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা প্রথমে চাকরিতে ঢোকেন, যদি তারা হলফনামা দিতেন, তারপর পাঁচ বছর/১০ বছর (পর) হলফনামা দিতেন এবং তাদের আলোচনা-সমালোচনা হতো, তাহলে দুর্নীতির চাবিটা বন্ধ হতো, না হলে বন্ধ হবে না। সরকার অনেক প্রশংসা পেয়েছে। কিন্তু শুধু দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলে সোনার অক্ষরে যেভাবে ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর নাম রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নামও সেভাবে লেখা থাকবে। পদক্ষেপ নিলে দুর্নীতি রোধ সম্ভব হবে।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, এমপিদের যেভাবে আমলনামা আছে, প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর আমলনামা তৈরি করা হয় তাহলে মনে হয় দুর্নীতি রোধ করা যাবে। আমার বাড়ি যে উপজেলায় সেখানে বাড়িকে অফিস হিসেবে ব্যবহার করি। কিন্তু আরেক উপজেলায় বসার জায়গাও নেই। হয় ইউএনও’র পাশে টেবিল নিয়ে বসতে হয়। এজন্য প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় এমপিদের জন্য অফিস করে দেওয়ার অনুরোধ। নির্বাচনী এলাকায় অনেক সালিশ-বিচার করতে হয়। অনেক সমস্যার সমাধান দিতে হয়। এলজিডিসহ বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে বসতে হয়। সেজন্য অফিস থাকলে ভালো হয়।

আইএইচআর/ইএ/জেআইএম