স্বাস্থ্য

মাত্রাতিরিক্ত ওষুধে রোগীর মৃত্যু: দুই চিকিৎসকের সনদ স্থগিত

চিকিৎসায় অবহেলা ও মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ প্রয়োগে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় দুই চিকিৎসককে শাস্তি দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)। রাজধানীর বসুন্ধরার আকবর হেলথ কেয়ারের অধ্যাপক কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) ডা. মো. নুরুল আজিম ও ডা. তানজিমা তাজরিনের রেজিস্ট্রেশন (সনদ) যথাক্রমে পাঁচ বছর ও এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

Advertisement

সম্প্রতি বিএমডিসির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. লিয়াকত হোসেনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, একমাত্র মেয়ে শ্রেয়শী আহমেদ ঐশীর (বয়স ১৭) ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় মৃত্যুজনিত কারণ উল্লেখ করে ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর বিএমডিসিতে অভিযোগ করেন আহমেদ রসিদ ও শর্মিষ্ঠা আহমেদ। এতে কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. মো. নুরুল আজিমকে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কাউন্সিল অভিযোগকারী এবং চিকিৎসক উভয়ের সাক্ষাৎকার নেন। পরবর্তী সময়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে কাউন্সিল। তদন্তে প্রমাণ হয় যে, তিনি একজন অভিজ্ঞ ও সিনিয়র বিশেষজ্ঞ হিসেবে তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অবহেলা করেছেন। মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ প্রয়োগের ফলে রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ডা. তানজিয়া তাজরিন মূলত ডা. নুরুল আজিমের তত্ত্বাবধানে কাউন্সিলিংয়ের কাজ করতেন। কাউন্সিলিংয়ের কাজে অদক্ষতা, অপেশাদারি আচরণ ও পেশাগত স্বীকৃত কাঠামো মেনে চলার অসামর্থ্য প্রতীয়মান হয়েছে। এছাড়া, ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও তার ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জ্ঞানও উল্লেখযোগ্য ঘাটতি প্রমাণ হয়েছে।

Advertisement

এ অবস্থায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ (৬১ নং আইন) এর ২৩ (১) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বিএমডিসি থেকে ডা. নুরুল আজিমের রেজিস্ট্রেশন পাঁচ বছরের জন্য স্থগিত করা হলো। এছাড়া ডা. তানজিমা তাজরিনের রেজিস্ট্রেশন এক বছরের জন্য স্থগিত করা হলো, যা ২৮ জুন থেকে কার্যকর হবে।

উল্লেখিত সময়ে বিএমডিসি আইন, ২০১০ (৬১ নং আইন) এর ধারা ২২ (১) অনুযায়ী তাদের রেজিস্ট্রেশন স্থগিতকালীন তারা চিকিৎসক হিসেব কোথাও কোনো প্রকার চিকিৎসা সেবা দিতে পারবেন না। এমনকি এ সময়ে তারা নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিতে পারবেন না, বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

এএএম/কেএসআর/জেআইএম

Advertisement