বন-জঙ্গল, মাঠ-ঘাট, ঘর-আঙিনাসহ প্রায় জায়গাতেই সাপের অস্তিত্ব রয়েছে। তা প্রায় সব দেশেই। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই রয়েছে নানা প্রজাতির সাপ। বর্তমানে আমাদের দেশে রাসেলস ভাইপারের প্রাদুর্ভাবে আতঙ্কিত সবাই। দেশের অনেক জেলায় এই সাপের কামড়ে মারা গেছেন অনেকে।
Advertisement
তবে আমাদের দেশে শুধু রাসেলস ভাইপার নয়, আরও অনেক বিষধর সাপের বসবাস। জানেন কি, বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা সাপ কোনটি? বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা সাপ হলো রেটিকুলেটেড পাইথন। লম্বায় ৮ মিটার, ওজন ১৫৮ কেজি। তবে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা বিষাক্ত সাপ হলো কিং কোবরা। এটি লম্বায় ৩-৪ মিটার পর্যন্ত হয়।
কিং কোবরার বিষ সরাসরি স্নায়ুকে খারাপভাবে প্রভাবিত করে এবং একজন ব্যক্তি আধা ঘন্টার মধ্যে মারা যেতে পারে। কিং কোবরা বিশ্বের দ্রুততম সাপগুলোর মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়। কিং কোবরা সাপের ঘণ্টায় গতিবেগ ১৯ কিলোমিটার। আর একজন সাধারণ মানুষের ঘণ্টায় দৌড়ানোর গতিবেগ ১৩ থেকে ১৯ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন
Advertisement
মজার ব্যাপার হলো কিং কোবরা কখনই মানুষকে তাড়া করে না। কিন্তু আত্মরক্ষার তাগিদে যদি কিং কোবরা মানুষকে তাড়া করে তাহলে কিন্তু সেই ব্যক্তি বিপদে পড়তে পারে। কিং কোবরা স্থান ভেদে সাদা কালো ডোরা বা বাদামী ধূসর রঙের হয়। ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া হয়ে দক্ষিণ চীন পর্যন্ত এই সাপের বিস্তৃত।
এরা প্রধানত অন্যান্য সাপকে শিকার করে খায়, যার মধ্যে নিজস্ব জাতের সাপও রয়েছে। এটিই একমাত্র সাপ, যেটি তার ডিমের জন্য মাটির উপরে একটি বাসা তৈরি করে। স্ত্রী কোবরা সাপ সেই বাসায় ডিম পাড়ে এবং বাচ্চা না হওয়া পর্যন্ত পাহারা দেয়। কিং কোবরার পরই বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা বিষাক্ত সাপের তালিকায় রয়েছে ব্ল্যাক মাম্বার নাম। এটি ৩ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা সাপ রেটিকুলেটেড পাইথনের পরই আসছে অ্যামেথিস্টাইন পাইথনের নাম। এটি ৫-৮ মিটার লম্বা হয়। এটি মূলত পাওয়া যায় ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়াও পাপুয়া নিউ গিনিতে।
আরেকটি লম্বা সাপ হল বারমিজ পাইথন। পাওয়া যায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। লম্বায় ৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রক পাইথন হলো বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা সাপগুলোর মধ্যে অন্যতম। আফ্রিকার সাব-শাহারানে পাওয়া যায় এই সাপ। লম্বায় হয় ৩-৫ মিটার।
Advertisement
আরও পড়ুন
এক রাতেই মারা যায় গ্রামের ১৮০০ মানুষ রহস্যময় দ্বীপে শুধুই সাপের বসবাসসূত্র: ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম
কেএসকে/এএসএম