অর্থনীতি

ভরা মৌসুমেও বাজার চড়া, আড়াইশ টাকার নিচে নেই বিদেশি ফল

দেশি ফলের ভরা মৌসুমে কদর কমলেও দাম কমেনি বিদেশি ফলের। এখনো খুচরা বাজারে আড়াইশো টাকার নিচে মিলছে না আপেল, আনার, কমলা ও মাল্টার মতো বিদেশি ফল।

Advertisement

বাজারে বর্তমানে সবচেয়ে কমদামি বিদেশি ফল মাল্টা, যা কেজিপ্রতি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কমলা ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, আপেল ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা, নাসপাতি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (২৮ জুন) রাজধানীর পল্টন এলাকাসহ কয়েকটি ফলের বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। আমদানি করা কিছু ফলের দাম এ ঈদের পরেই কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। দাম বাড়ার জন্য বাড়তি দরে শুল্কায়ন ও ডলার–সংকটকে দায়ী করেছেন পাইকারি ফল ব্যবসায়ীরা।

দামবৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে- বিদেশি ডালিম ও লাল আঙুরও। প্রতি কেজি ডালিম বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে। এছাড়া লাল অঙুরের কেজি ৬০০ থেকে ৬৬০ টাকা।

Advertisement

পল্টনে ফল ব্যবসায়ী দিদারুল আলম বলেন, এখন বিদেশি ফলের মৌসুমও নয়। যে কারণে আমদানি কম। এছাড়া ডলারের দামের কারণে গত রোজার মধ্যে থেকেই বিদেশি ফলের বাজার চড়া। বাজারে প্রচুর দেশি ফল রয়েছে। ক্রেতাদের আকর্ষণ এখন দেশি ফলে। তাই বিদেশি ফলের দাম নিয়ে কেউ মাথা ঘামাচ্ছেন না।

সেখানে ফল কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী এহসানুল কবির বলেন, বাজারে আম কাঁঠাল আছে। এখন বিদেশি ফল কিনছি না। এগুলো শেষ হলে দেখা যাবে ওইসবের (বিদেশি ফল) দাম কতো।

বাজারে দেশি ফলের সরবরাহ খুব ভালো। আম, কাঁঠাল, আনারস, কলা, পেয়ারা, জামরুলসহ হরেক রকম দেশি ফল রয়েছে ওইসব দোকানে।

ফল বিক্রেতারা বলেন, দেশি ফলের একদম ভরা মৌসুম চলছে, যে কারণে বিদেশি ফলের চাহিদা কমেছে। তবে দাম কমেনি সেই তুলনায়। আগে এ সময় বিদেশি ফল খুব কম দামে বিক্রি হতো। এবার ব্যতিক্রম।

Advertisement

তবে, বাজারে এবার দেশি ড্রাগন ফলের আধিক্য দেখা যাচ্ছে। দামও কম। প্রতি কেজি ড্রাগন ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সরবরাহ রয়েছে পর্যাপ্ত।

বাজারের তথ্য বলছে, গত রমজানে বিদেশি ফলের দাম অস্বাভাবিক ছিল। এরপর আস্তে আস্তে আপেল, কমলা ও মাল্টার মতো বিদেশি ফলের দাম বাড়তে থাকে। কোরবানির পর বিদেশি ফলের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ১০০ টাকা। এখনো তা কমেনি।

ঢাকা মহানগর ফল আমদানি-রপ্তানিকারক ও আড়তদার ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ আবদুল করিম বলেন, ডলারের দাম বেশি। শুল্ক-করও এর মধ্যে কমানো হয়নি। আমদানিকারকরা এখনো কিছু জটিলতার মধ্যে রয়েছেন। সবমিলে আমদানি কম, দাম বেশি।

এনএইচ/এমএএইচ/এমএস