জাতীয়

হাজারো মানুষের পদভারে মুখর চিড়িয়াখানা

প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে হাজারো মানুষের পদভারে মুখর থাকে মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা। ছুটির দিনে থাকে উপচেপড়া ভিড়। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারও (২৮ জুন) মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় দেখা যায় দর্শনার্থীদের ভিড়। পরিবার পরিজন নিয়ে দর্শনার্থীদের কেউ এসেছেন গাজীপুর থেকে, কেউ এসেছেন কেরানীগঞ্জ থেকে। ঢাকা বিভিন্ন স্থান থেকেও এসেছেন অনেকে।

Advertisement

শুক্রবার সকালের আকাশে কখনো মেঘ, কখনো গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, কখনো রোদের ঝলকানি। বানর, বাঘ, সিংহ, ময়ূর, হরিণের খাচার সামনে শিশুদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। রোদ, বৃষ্টি এড়াতে দর্শনার্থীরা আশ্রয় নিয়েছেন বিশ্রামকেন্দ্র, গাছের ছায়া ও লেকের পাড়ে।

শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে চিড়িয়াখানার কার্যক্রম শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে দর্শনার্থীর সংখ্যা। বাদাম, খাবার পানি, হরেক রকম খেলনা-খাবার নিয়ে চিড়িয়াখানার বাইরে দর্শনার্থীদের অপেক্ষায় ছিল শতাধিক হকার। বেলা ১২ টার পর দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে হকারদের ব্যস্ততা।

চিড়িয়াখানা এলাকায় সাবানের বুদবুদ তৈরির খেলনা বিক্রি করেন আমজাদ। কথা হলে আমজাদ জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিদিনই সকাল ও বিকেল চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় এ খেলনা বিক্রি করি। প্রতিপিস খেলনা ৫০ টাকা। অন্যান্য ৪০০-৫০০ টাকার খেলনাও আছে আমার কাছে। অন্যান্য দিনের চেয়ে শুক্রবার বা সরকারি ছুটির দিন বিক্রি ভালো। আমার মতো আরও ৫-৬ জন এ খেলনা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

Advertisement

সাভারের নবীনগর থেকে মায়ের সঙ্গে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছেন ১০ বছর বয়সী ফারিন। ফারিন বলে, চিড়িয়াখানায় হাতি, উট আর বাঘ দেখে অনেক ভালো লেগেছে।

ফারিনের মা হোসনে আরা বলেন, কোরবানিসহ নানা ব্যস্ততায় মেয়েকে নিতে ঘুরতে যাওয়া হয়নি। এরপর মেয়ের স্কুল শুরু হয়ে গেলো। আজ ছুটির দিন হওয়ায় সকালে সাভার থেকে রওনা দিয়েছি।

রাজধানীর পূর্বাচল থেকে ছেলেকে সঙ্গে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছেন জামশেদ আহমেদ। তার সঙ্গে কথা হলে বলেন, ‘প্রচন্ড গরম, বিভিন্ন খাচা ঘুরে ক্লান্ত হয়ে গেছি। ছেলেও ঘামাচ্ছে। পাখির কয়েকটা খাচা দেখে বেরিয়ে যাবো। এসময় স্কুল পড়ুয়া ছেলে নূর আহমেদ বলেন, চিড়িয়াখানা এসে বাঘ, সিংহ দেখেছি। যেগুলো আগে বইয়ে দেখেছি। একটু পরে বাসায় চলে যাবো।

এসএম/এমএএইচ/এমএস

Advertisement