সাহিত্য

মধুসূদন একাডেমি পুরস্কার পাচ্ছেন জবি অধ্যাপক রাহেল রাজিব

মধুসূদন গবেষণায় এবার ‘মধুসূদন একাডেমি পুরস্কার-২০২৩’ পাচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রাহেল রাজিব। তার প্রকাশিত ‘মাইকেল মধুসূদন দত্ত: সময় ও শিল্প’ গ্রন্থের জন্য তিনি এ পুরস্কারে মনোনীত হয়েছেন। ২৯ জুন মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৫১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে যশোরের সাগরদাঁড়িতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে।

Advertisement

ড. রাহেল রাজিব কবি, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও গবেষক। তিনি ১৯৮৪ সালের ২৩ অক্টোবর দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ির নাড়িমাটি কাটাবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। রাহেল রাজিব জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে সম্মান, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি লাভ করেন।

মধুসূদন একাডেমির পরিচালক কবি ও মধুসূদন গবেষক খসরু পারভেজ বলেন, ‘মধুসূদনচর্চা ও গবেষণায় এবার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন ড. রাহেল রাজিব। মহাকবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানে অতিথিরা তার হাতে ওই পুরস্কার তুলে দেবেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুহিন হোসেন। মুখ্য আলোচক থাকবেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন মিদ্দে। ১৯৯১ সাল থেকে মধুসূদন একাডেমি থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।’

আরও পড়ুন কে হবেন বাংলা একাডেমির নতুন মহাপরিচালক?  কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতি পুরস্কার পেলেন আবু সাঈদ 

পুরস্কারপ্রাপ্তির বিষয়ে অধ্যাপক ড. রাহেল রাজিব বলেন, ‘মাইকেল মধুসূদন দত্ত পাঠ আমার কাছে একটি বিশেষ অভিঘাত। আমার স্কুলশিক্ষক প্রণম্য আব্দুল আজিজ বাবু স্যার এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পাঠকালে বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও অধ্যাপক ড. হায়াৎ মামুদ স্যারের অনুপ্রেরণার কারণে মধুসূদন পাঠ আমার নিয়মিত পাঠের অংশ হিসেবেই থাকে।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময় মধুসূদন পাঠের অংশ হিসেবে প্রবন্ধ লিখলেও কখনো গবেষণা প্রবন্ধ লেখা হয়ে ওঠেনি! ২০১৮ সালে হায়াৎ মামুদ স্যারের সাথে একদিন দীর্ঘ আলাপের সময় তিনি বলেন, এই পাঠচিন্তাগুলো গ্রন্থবদ্ধ করা উচিত। সেখান থেকেই গ্রন্থটির বীজ সূচনা হয়। গ্রন্থটি মধুসূদনের নামে ‘মাইকেল মধুসূদন একাডেমি পুরস্কার’ প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে আনন্দের ও গর্বের। এ প্রাপ্তি আমাকে মধুসূদন পাঠের প্রতি আরও নিষ্ঠা ও দায়িত্ববান করে তুলবে।’

এসইউ/জিকেএস