দেশজুড়ে

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে কমিটি, ডুবিয়ে দেওয়া হলো সেই ট্রলার

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মেঘনা ডিপোর পেছনে বুড়িগঙ্গা নদীতে তেলবাহী ট্রলারে আগুন লাগার ঘটনায় সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাকিব আল রাব্বি।

এর আগে বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর রাতে ফের থেমে থেমে জ্বলে ওঠায় নিরাপত্তার জন্য ট্রলারটি নদীতে ডুবিয়ে দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন বলেন, ‘বুধবার দুপুরে ট্রলারটিতে আগুন লাগার পর বিকেল ৩টায় আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রনে আসে। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ট্রলারটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে রাখা অবস্থায় পুনরায় জ্বলে ওঠে। ট্রলারটির রশি আগুনে পুড়ে গিয়ে মাঝ নদীতে চলে গিয়েছিল। এর ভেতরে থাকা তেল থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণে আগুন নেভানো শেষে ট্রলারটিকে নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

Advertisement

আরও পড়ুন: ফতুল্লায় তেলবাহী ট্রলারের আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিহত ১

এ ঘটনায় ট্রলারের চার শ্রমিকের মধ্যে একজন নদীর পাড়ে উঠতে পারলেও বাকিরা নিখোঁজ ছিলেন। এদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

মেঘনা ডিপোর ইনচার্জ জিয়াউর রহমান বলেন, ট্রলারে করে তেল নিয়ে তারা মনপুরায় যাচ্ছিলেন। ট্রলারে চারজন শ্রমিক ছিলেন। তারা ভেতরে রান্না করছিলেন। এসময় সেখান থেকে আগুন লাগতে পারে।

তিনি আরও জানান, ট্রলারটিতে ৮৬ ড্রাম পেট্রোল ও ৭০ ড্রাম ডিজেল ছিল। প্রায় সব তেলবাহী ড্রামই অগ্নিকাণ্ডে বিস্ফোরিত হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মেঘনা পেট্রোলিয়াম এভাবে খোলা ট্রলারে ড্রামে করে জ্বালানি তেল বিক্রি করতে পারে কি না তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাকিব আল রাব্বিকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। এ ঘটনায় কারও গাফিলতি বা দায় থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

মোবাশ্বির শ্রাবণ/এসআর/জেআইএম