জাতীয়

এপ্রিলে বিনা টিকিটের যাত্রীদের থেকে সাড়ে ৪ কোটি টাকা জরিমানা আদায়

কালোবাজারি বোধসহ রেলওয়ের টিকিট সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে বর্তমানে ব্যাপক চেকিং ব্যবস্থা চালু রয়েছে। শুধু চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল মিলে বিনা টিকিটের যাত্রীদের কাছ থেকে ৪ কোটি ৫৭ লাখ ১৭ হাজার ৩৮৯ জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান রেলমন্ত্রী। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

মন্ত্রী জানান, টিকিট কালোবাজারি রোধে রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম প্রতিরোধ করা হচ্ছে। টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে বাংলাদেশ রেলওয়ের উভয়াঞ্চলের বিভিন্ন ট্রেনে নিয়মিতভাবে টিকিট চেকিং করা হচ্ছে। নিয়মিত চেকিংয়ের বাইরেও ব্লক চেকিং ও স্পেশাল চেকিং পরিচালিত হয়। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে রেলওয়ের উভয়াঞ্চলে চেকিং কার্যক্রমের সংখ্যা ১ হাজার ৬৩৩টি, কেইস সংখ্যা ২ লাখ ৯ হাজার ৩৪৬টি এবং আদায় করা ভাড়া ও জরিমানার পরিমাণ ৪ কোটি ৫৭ লাখ ১৭ হাজার ৩৮৯ টাকা। এছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণ প্রতি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।

এমপি এম আবদুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রেলওয়ের ১২১টি স্টেশন সিগনাল কম্পিউটার বেইজ ইন্টারলকিং সিস্টেম এ পরিচালিত হচ্ছে। দুর্ঘটনা পরিহারে যেকোনো জরুরি অবস্থায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেন থামানোর জন্য অটোমেটিক ট্রেন স্টপ (এটিএস) প্রযুক্তি বাস্তবায়ের কাজ চলমান রয়েছে।

Advertisement

এমপি সিদ্দিকুল আলমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রেলওয়েতে ৩৫৩ টি ট্রেন চলাচল করছে। এর মধ্যে আন্তঃনগর ১১২টি, আন্তঃদেশীয় ৬টি, মেইল, এক্সপ্রেস ও কমিউটার ১৩৪টি, লোকাল-৭৫টি, গুডস ও কনটেইনার ২৬টি।

আইএইচআর/এমএএইচ/জেআইএম