দেশজুড়ে

নোয়াখালীতে অবিবাহিত পুরুষ বেশি, তালাকে এগিয়ে নারীরা

নোয়াখালীতে পুরুষের চেয়ে নারী বেশি। তালাকেও এগিয়ে নারীরা। তবে অবিবাহিত পুরুষ বেশি। আর নারীরা বেশি বিবাহিত। কমেছে একান্নবর্তী পরিবারের সংখ্যা। পাশাপাশি বিদ্যুৎ সুবিধার বাইরে রয়েছে দেড় শতাংশ মানুষ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান তার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সেমিনারে ২০২২ সালের জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। সেখানে এ তথ্য জানা যায়।

এতে দেখা যায়, জেলায় মোট জনসংখ্যা ৩৬ লাখ ২৫ হাজার ৪৪২ জন। এরমধ্যে ৪৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ পুরুষ ও ৫২ দশমিক ২৫ শতাংশ নারী। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ২০১১ সালে ছিল ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ। জেলায় প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৯৮৪ জন।

জেলায় সর্বাধিক জনসংখ্যা নোয়াখালী সদরে। সবচেয়ে কম জনসংখ্যা কবিরহাট উপজেলায়। জেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা এক হাজার ৪ জন।

Advertisement

প্রতিবেদনে আরও রয়েছে, জেলার মোট জনসংখ্যার ৯৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ মুসলমান, ৪ দশমিক ০৬ শতাংশ হিন্দু, শূন্য দশমিক ০৩ শতাংশ খ্রিষ্টান এবং শূন্য দশমিক ০২ শতাংশ বৌদ্ধ। সাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ৫২ শতাংশ (নারী ৭৫ দশমিক ৪১ শতাংশ ও পুরুষ ৭৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ)।

সারাদেশের মতো নোয়াখালীতেও একান্নবর্তী পরিবারের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। জেলায় মোট একান্নবর্তী পরিবারের হার ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ, যেখানে ২০১১ সালে একান্নবর্তী পরিবারের হার ছিল ৫ দশমিক ২০ শতাংশ।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, এটিই দেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি। এসব তথ্য-উপাত্ত জেলার বিভিন্ন উন্নয়নে কাজে লাগবে। বিশেষ করে স্যানিটেশন, জ্বালানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

সেমিনারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আরার সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলে পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান, জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) হারুন অর রশিদ, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ভূঁইয়া, নোয়াখালী জেলা শিক্ষা অফিসার নূর উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর, নোয়াখালী সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কাজী রফিক উল্যাহ প্রমুখ।

Advertisement

ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/জেআইএম