দেশজুড়ে

কেরু কোম্পানির ডিস্টিলারি বিভাগের গোডাউন সিলগালা

দর্শনার কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ডিস্টিলারি বিভাগের ১৩ হাজার লিটার ডিনেচার স্পিরিট গায়েবের ঘটনায় গোডাউন সিলগালা করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। মদ তৈরির এ কাঁচামালের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শারমিন আক্তার গোডাউন সিলগালা করেন। এছাড়া ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যর একটি কমিটি করেছে খুলনা বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন যশোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আসলাম হোসেন। সদস্যরা হলেন, ঝিনাইদহ মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক গোলক মজুমদার ও মেহেরপুর মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক আবুল হাশেম।

গোডাউন সিলগালার সময় উপস্থিত ছিলেন দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর মনোয়ার হোসেন।

Advertisement

যশোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আসলাম হোসেন বলেন, অধিদপ্তর থেকে আমাকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। আমরা তদন্ত কাজ শুরু করে একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিপোর্ট অধিদপ্তরে জমা দেবো। তারপর ব্যবস্থা নেবে অধিদপ্তর।

আরও পড়ুন: কেরু থেকে মদ তৈরির ১৩ হাজার লিটার স্পিরিট গায়েব!মদ বিক্রি করে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির রেকর্ডমদ বিক্রিতে কেরুর রেকর্ড, এক বছরে লাভ ১৫২ কোটি

এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে না এসে দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, ‘ডিস্টিলারি বিভাগের ব্র্যান্ডেড ওয়্যারহাউজ (ডিস্টিলারি ভাণ্ডার) থেকে মালামাল গায়েবের যে অভিযোগ উঠেছে তা আমরা তদন্ত করছি। এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কমিটি তাদের মতো কাজ করবে। এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়া হবে।

অভিযোগ রয়েছে, ডিস্টিলারি বিভাগে বন্ডেড ওয়্যারহাউজের বর্তমান ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় ডিএস (ডিনেচার স্পিরিট) ৩ নম্বর ভ্যাট গোডাউনের গভীরতা পান ১০৯ ইঞ্চি। যার বাস্তবিক মজুত ৩৫ হাজার ৫শ বা ১২ দশমিক ২৩ লিটার। কিন্তু হস্তান্তর তালিকায় মজুত দেখানো হয় ৩৯ হাজার ৭শ লিটার। ৭ নম্বর ভ্যাট গোডাউনে সরেজমিনে গভীরতা ৫৩ ইঞ্চি। যার বাস্তবিক মজুত ৪ হাজার ৮ শত বা ৪ দশমিক ৩০ লিটার। কিন্তু হস্তান্তর তালিকায় মজুত দেখানো হয় ১৩ হাজার ৭শ লিটার। এছাড়া ১০ নম্বর ভ্যাটে ৪ ইঞ্চি গভীরতার স্পিরিট কম।

ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বাস্তবিক মজুত অনুযায়ী ১৩ হাজার ১০০ লিটারের বেশি মালামাল (ডিনেচার স্পিরিট) কম থাকায় আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেনি।

Advertisement

ফলে ২ মে দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। ওই অভিযোগপত্রে বিষয়টি কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করেন কোম্পানির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা।

এর আগে ২৬ জুন জাগো নিউজে ‘কেরু থেকে মদ তৈরির ১৩ হাজার লিটার স্পিরিট গায়েব!’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়।

হুসাইন মালিক/জেডএইচ/জেআইএম