স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের কৌশল হতে হবে বাস্তবসম্মত

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের সংলাপে সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও নীতিনির্ধারকরা বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবসম্মত হওয়া প্রয়োজন।

বুধবার (২৬ জুন) ‘হাই লেভেল ডায়লগ অন স্মুথ ট্রানজিশন মেজার্স’ শীর্ষক এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা এ সংলাপে অংশ নেন।

২০১৮ ও ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের সব মানদণ্ড পূরণে সক্ষম হয়। এত পাঁচ বছর প্রস্তুতিকালীন সময় শেষে ২০২৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে যে সুযোগ ও সম্ভাবনা তৈরি হবে তা যথাযথভাবে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্র্যাটেজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

বৈঠকে অংশগ্রহণকারী নীতিনির্ধারক ও অংশীজনরা বলেন, স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্র্যাটেজির খসড়াটি যথেষ্ট তথ্যবহুল ও মানসম্মত হয়েছে। এ কৌশলপত্রে অর্থনীতির কাঠামোগত রূপান্তর, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বৃদ্ধি, শুল্কহার যৌক্তিকীকরণ প্রভৃতি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ থাকা প্রয়োজন। বৈঠকে বক্তব্য রাখেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, ইআরডির সাবেক সিনিয়র সচিব ও বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক শরিফা খান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো. মাসুদ সাদিক, মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট কামরান টি রহমান, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট আশরাফ আহমেদ, বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির প্রেসিডেন্ট আবদুল মুক্তাদির প্রমুখ।

এমওএস/এসআইটি/এএসএম