চুয়াডাঙ্গার কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ডিস্টিলারি বিভাগে ১৩ হাজার ১৯০ দশমিক ৭৫ লিটার ডিএস স্পিরিট (মদ তৈরির কাঁচামাল) গায়েব হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসব স্পিরিটের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা।
Advertisement
কেরু ডিস্টিলারিতে ডিএস স্পিরিট দিয়ে বিলেতি মদ ফরেনলিগারের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ উৎপাদন করা হয়। এসব মালামাল গায়েবে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ডিস্টিলারি বিভাগে ব্র্যান্ডেড ওয়্যারহাউজের (ডিস্টিলারি ভান্ডার) সাবেক ইনচার্জ এ কে এম মাজেদুর রহমান ওরফে তুফানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সহকারী ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন।
দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি ডিস্টিলারি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ডিস্টিলারি বিভাগে ব্র্যান্ডেড ওয়্যারহাউজে কর্মরত সহকারী ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন পদোন্নতি পেয়ে ইনচার্জ হন। এর আগে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি ডিস্টিলারি বিভাগে ব্র্যান্ডেড ওয়্যারহাউস ইনচার্জ ছিলেন এ কে এম মাজেদুর রহমান ওরফে তুফান।
আরও পড়ুন মদ বিক্রিতে কেরুর রেকর্ড, এক বছরে লাভ ১৫২ কোটিবর্তমান ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর হোসেন লিখিত অভিযোগে বলেন, ‘আমাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার সময় ডিএস গোডাউন, ডিএস স্পিরিটের ৩ নম্বর ভ্যাট গোডাউনে সরেজমিন গভীরতা ছিল ১০৯ ইঞ্চি। যার বাস্তবিক মজুত রয়েছে ৩৫ হাজার ৫১২ দশমিক ২৩ লিটার। কিন্তু হস্তান্তর তালিকায় মজুত দেখানো হয়েছে ৩৯ হাজার ৭১১ দশমিক ৫৫ লিটার। ৭ নম্বর ভ্যাট গোডাউনে সরজমিন গভীরতা ৫৩ ইঞ্চি। যার বাস্তবিক মজুত রয়েছে চার হাজার ৮০৪ দশমিক ৩০ লিটার। কিন্তু হস্তান্তর তালিকায় মজুত দেখানো হয়েছে ১৩ হাজার ৭৯৫ দশমিক ৭৩ লিটার। এছাড়া ১০ নম্বর ভ্যাটে ৪ ইঞ্চি মালামাল কম আছে। ভ্যাট নম্বর ৩, ভ্যাট নম্বর ৭ ও ভ্যাট নম্বর ১০ বাস্তবিক মজুত অনুযায়ী ১৩ হাজার ১৯০ দশমিক ৭৫ লিটারের বেশি মালামাল কম থাকায় আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেনি। এ বিষয়ে গত ২ মে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করি।’
Advertisement
এ বিষয়ে জানতে ডিস্টিলারি বিভাগের ব্র্যান্ডেড ওয়্যারহাউজের (ডিস্টিলারি ভান্ডার) সাবেক ইনচার্জ এ কে এম মাজেদুর রহমান ওরফে তুফানের সঙ্গে মোবাইলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি কল রিসিভ করেননি। জিএম (ডিস্টিলারি) রাজিবুল ইসলামও কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, ‘ডিস্টিলারি বিভাগের ব্র্যান্ডেড ওয়্যারহাউজ থেকে মালামাল গায়েব হয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরে বিস্তারিত জানাবো।’
এ বিষয়ে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
হুসাইন মালিক/এসআর/জিকেএস
Advertisement