বাইক কেনার সময় সবাই প্রথমেই যে জিনিসটা দেখেন তা হচ্ছে বাইকটির মাইলেজ কেমন। কারণ এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তবে বাইক চালানোর কিছুদিন পরই দেখা যায় মাইলেজ কমতে থাকে।
Advertisement
মাঝে মাঝেই দেখা যায় শখের মোটরসাইকেল ভালো মাইলেজ দিচ্ছে না! এদিকে পেট্রোলের দাম আকাশ ছোঁয়া। চিন্তায় কপালের ভাঁজও দীর্ঘ হচ্ছে আপনার। তবে বাইকে কয়েকটি কাজ করলে মাইলেজ পাবেন দ্বিগুণ। জেনে নিন সেসব-
বায়ু-জ্বালানির মিশ্রণ১. কার্বুরেটর যদি কারও বাইকে কার্বুরেটর থাকে, তাহলে সেটি বায়ু এবং জ্বালানির মিশ্রণকে সামঞ্জস্য করতে বায়ু মিশ্রণ স্ক্রু ব্যবহার করা যেতে পারে। এটিকে সামান্য সমৃদ্ধ (আরো জ্বালানি) থেকে সামান্য দুর্বলের দিকে (কম জ্বালানি) সামঞ্জস্য করা উচিত।
আরও পড়ুনদুর্ঘটনা থেকে বাঁচাতে বাইকে যুক্ত হচ্ছে এয়ারব্যাগ২. ইনজেকশনফুয়েল ইনজেকশন সহ বাইকে, বায়ু-জ্বালানির মিশ্রণ সামঞ্জস্য করতে ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল ইউনিট রি-প্রোগ্রাম করা যেতে পারে।
Advertisement
স্পার্ক প্লাগসঠিক স্পার্ক প্লাগ গ্যাপ এবং স্পার্ক প্লাগ টাইপ ব্যবহার করা উচিত। পুরনো বা ক্ষতিগ্রস্ত স্পার্ক প্লাগ প্রতিস্থাপন করা উচিত।
টায়ারের চাপপ্রস্তুতকারকের দ্বারা সুপারিশকৃত চাপে টায়ারটি হাওয়া দিয়ে ভরা উচিত। সামান্য উচ্চ চাপ (২-৩ পিএসআই) মাইলেজ উন্নত করতে পারে।
গাড়ি চালানোর অভ্যাসধীরে ধীরে এবং স্থির গতিতে গাড়ি চালানোর অভ্যাস করা উচিত। আকস্মিক ব্রেকিং এড়িয়ে চলতে হবে। যানজটে আটকে পড়লে ইঞ্জিন বন্ধ করতে হবে।
রক্ষণাবেক্ষণনিয়মিত সার্ভিসিং করাতে হবে। এয়ার ফিল্টার, তেল ফিল্টার এবং অন্যান্য ফিল্টার নিয়মিত প্রতিস্থাপন করতে হবে। ইঞ্জিন তেলের স্তর এবং অবস্থা পরীক্ষা করতে হবে। চেইন লুব্রিকেট করতে হবে এবং শিথিলতা পরীক্ষা করতে হবে।
Advertisement
সূত্র: টিভিএস মোটরস
কেএসকে/জেআইএম