২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএর অভিযানে সারাদেশে ২৬ হাজার ১৮১টি ছোট বড় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং এক হাজার ১৬০ একর নদীর তীরভূমি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৫ জুন) স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরীর লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা জানান তিনি। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। এদিন প্রশ্ন উত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, উচ্ছেদ কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রায় শতভাগ অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে এবং এখনো বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক নিয়মিতভাবে এর কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, উচ্ছেদকৃত নদী এবং তীরভূমিতে যাতে পুনরায় অবৈধ দখল না হয় সে লক্ষ্যে এক হাজার ১৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প নেওয়া হয়। এর অধীনে ৭ হাজার ৫৬২টি সীমানা পিলার স্থাপন, ৪৬ হাজার বৃক্ষরোপণ, ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, ১৪টি জেটি, কি-ওয়াল এবং ৩টি ইকোপার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির বাস্তব অগ্রগতি ৮০ শতাংশ।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ঢাকার চারপাশে নদীকেন্দ্রিক অর্থনীতিতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। ঢাকার চারপাশের বৃত্তাকার নৌপথ বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যা নদী দ্বারা বেষ্টিত বৃত্তাকার নৌপথের মোট দৈর্ঘ্য ১১০ কিলোমিটার। নদীগুলোকে পুনরুদ্ধারের জন্য বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে একটি সমীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক নদীগুলো পুনরুদ্ধারে একটি আমব্রেলা ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম প্রস্তাব করেছে। প্রস্তাবটি বাস্তবায়নে জাতীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং কাজ চলছে। এটি বাস্তবায়ন হলে ঢাকার চারপাশের নদীগুলো সম্পূর্ণরূপে দূষণমুক্ত হবে এবং পরিবেশের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে।
আইএইচআর/বিএ/এএসএম