জাতীয়

বেনজীরের পাসপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন, এড়িয়ে গেলেন দুদক চেয়ারম্যান

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধানে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। দুদকের উপ-পরিচালক হাফিজুল ইসলাম ও তার টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

Advertisement

এ বিষয়ে এদিন বিকেলে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ ও সচিব খোরশেদা ইয়াসমীনের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। তবে তারা দুজনই বিষয়টি এড়িয়ে যান।

যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেন মো. মহসিন ইসলাম, আবু মো. মোতালেব হোসেন, আব্দুল জলিল মন্ডল, মুন্সী মুয়ীদ ইকরাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আবু নাঈম মাসুম, সাইদুর রহমান ও সুভাস চন্দ্র রায়।

আরও পড়ুন

Advertisement

বেনজীর-মতিউরের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে কোনো চাপ নেই অভিযোগের বিষয়ে অবস্থান জানালেন বেনজীর, কোথায় আছেন জানাননি

বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট তৈরি করেছেন তিনি। পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেও আশ্রয় নিয়েছেন নজিরবিহীন জালিয়াতির। কিন্তু নবায়নের সময় ধরা পড়লে আটকে দেয় পাসপোর্ট অধিদপ্তর। চিঠি দেওয়া হয় র‌্যাব সদরদপ্তরে। তবে প্রভাব খাটিয়ে ম্যানেজ করেন সব। পাসপোর্ট অফিসে না গিয়ে নেন বিশেষ সুবিধা। সাবেক এ আইজিপি পাসপোর্টে আড়াল করেছেন পুলিশ পরিচয়। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিনি সরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে বিশেষ পাসপোর্ট নেননি।

এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বেনজীর আহমেদকে দুদকে তলব করা হলেও তিনি আসেননি। এমনকি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্ত্রী জীশান মীর্জা ও দুই মেয়েকে ডাকা হলেও তারা দুদকের ডাকে সাড়া দেননি। তবে তারা হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছেন।

তদন্ত ককর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদে পাসপোর্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। তবে দুদকের অন্য এক সূত্র জানায়, বেনজীর আহমেদের আরও কয়েকটি পাসপোর্টে থাকতে পারে।

এ বিষয়ে দুদকের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম জানান, দুদকের একটি দল পাসপোর্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

Advertisement

এসএম/কেএসআর/এএসএম