দেশজুড়ে

ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী হত্যায় দুজনের যাবজ্জীবন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ব্যাংকে ডাকাতি করতে গিয়ে নিরাপত্তাকর্মীকে খুনের ঘটনায় দুজনকে যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

Advertisement

মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা জজ ২য় আদালতের বিচারক আব্দুল হান্নান এ রায় ঘোষণা করেন।

এছাড়াও এই মামলায় তিনজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলায় সাদ্দাম নামে এক আসামি বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন আশুগঞ্জের বগীর গ্রামের রসু মিয়া জামাল হোসেন ওরফে মাসুদ (৩০)ও আড়াইসিধা গ্রামের খালেক মিয়ার জামির হোসেন (৩৪)।

Advertisement

১০ বছর করে কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, আশুগঞ্জের চরচারতলা গ্রামের এলাই মিয়ার ছেলে মো. মোস্তফা (৩৪), নোয়াব মিয়ার ছেলে শাহাদাৎ হোসেন (২৪) ও আবুল কাশেমের ছেলে মাসুদ মিয়া (৪৩)।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল) আশুগঞ্জ শাখার নিরাপত্তাকর্মী রাজেশ বিশ্বাসকে (২৩) খুন করে ব্যাংক ডাকাতির চেষ্টা করেন অভিযুক্ত আসামিরা। ঘটনার পর সাপ্তাহিক সরকারি ছুটি থাকায় তখন ঘটনাটি কেউই জানতে পারেনি। ঘটনা প্রকাশ্যে আসে ২৬ সেপ্টেম্বর। ওই দিন রাত পৌনে ১২টার দিকে বিডিবিএলের ওই শাখা থেকে নিরাপত্তাকর্মী রাজেশের হাত-পা ও মুখ বাঁধা রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

২৭ সেপ্টেম্বর বিডিবিএল আশুগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মোবাশ্বের হোসেন আশুগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় নিরাপত্তাকর্মী খুন ও ব্যাংকের ভেতরে অনুপ্রবেশ, চুরি ও ভল্ট লুটের চেষ্টার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান ছয়জনকে অভিযুক্ত করে ২০২১ সালের ২২ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর চার্জ গঠন করেন।

Advertisement

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, এটি একটি আলোচিত মামলা ছিল। কোর্ট পুলিশের চেষ্টায় আদালতে ১৮জন সাক্ষী হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত দুই আসামি উপস্থিত ছিলেন। অন্য তিন আসামি পলাতক।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/এনআইবি/জেআইএম