খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
Advertisement
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২৪ জুন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারেক রহমান।
মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও সংবিধানবিরোধী।
Advertisement
খালেদা জিয়ার ওপর এটা নির্মমতা: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া সরকারের মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়েছে খালেদা জিয়ার প্রতি অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে: ইউট্যাব খালেদা জিয়ার কারামুক্তিতে বিএনপির যে কৌশলতিনি বলেন, তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে…. তার এতে কোনো সম্পৃক্ততা নেই… তাকে সাজা দিয়ে এবং পরবর্তীকালে হাইকোর্টে আরও বেশি সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। আপনারা জানেন, দুই বছর একটা পরিত্যক্ত নির্জন কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বার বার চেষ্টা করার পরও সেখানে ভালো চিকিৎসক পাঠানো হয়নি। বহু চেষ্টার পর যখন তাকে পিজি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলো সেখানেও তিনি সুষ্ঠু চিকিৎসা পাননি।
‘এরপর যখন তাকে বাসায় (ফিরোজা) নিয়ে আসা হলো সেটাও আবার শর্ত সাপেক্ষে যে, তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না, দেশেই চিকিৎসা নিতে হবে। তখনই তার ধরা পড়লো লিভার সিরোসিস। তখন ডাক্তাররা আমাদের বলেছিলেন যে, লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন ছাড়া কোনো পথ নেই। এটা বাংলাদেশে সম্ভব নয়।’
Advertisement
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন, আমরা কম চেষ্টা করিনি। সরকারের এখানে কোনো কৃতিত্ব নাই। আমরা এখন পর্যন্ত যেটুকু করেছি সেটুকু হচ্ছে তার পরিবার এবং দলের চেষ্টাতেই। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডাক্তারদের নিয়ে এসেছি।
খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন করা একমাত্র সমাধান উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তার যে অনেকগুলো অসুখ আছে সেই অসুখের জন্য তাকে এমন চিকিৎসা সেন্টারে পাঠাতে হবে, যেখানে তার সঠিক চিকিৎসা হবে।
কেএইচ/জেডএইচ/এএসএম