টি২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমিতে ওঠার সুযোগ পেয়েও গ্রহণ করতে পারলো না বাংলাদেশ। ১২.১ ওভারে ১১৬ রান করতে হবে। শুরুটাও মারমুখি হয়েছিল। কিন্তু মাঝের ওভারগুলোতে ব্যাটাররা পারলেন না বিগ শট খেলতে। পারলেন না দ্রুত রান তুলতে। ফলে ১২.১ ওভার কিংবা ১৩ ওভারের মত জয়ও হলো না টাইগারদের।
Advertisement
অন্যদিকে ইতিহাস গড়লো আফগানিস্তান। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে গেলো রশিদ খানের দল। বাংলাদেশকে ৮ রানে হারিয়ে এই কৃতিত্ব অর্জন করলো আফগানরা। পরিবর্তিত লক্ষ্য ১১৪ রানও করতে পারলো না টাইগাররা। অলআউট হলো ১০৫ রানে।
এরই মধ্য দিয়ে টি২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপের স্বপ্ন ও সমীকরণ শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশ দলের। অনেক আশা নিয়ে বুক বাঁধা বাংলাদেশের সমর্থকরা হতাশ হয়েছেন। একই সঙ্গে ক্ষোভেও ফুঁসে উঠেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এই ধারাবাহিক অবনমন দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তাই তো সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বইছে।
শিশুসাহিত্যিক ও সাংবাদিক রবিউল কমল লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ একা হারেনি, শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে বাঁশ দিয়ে হেরেছে।’
Advertisement
একেএম সাইফুল্লাহ শিহান নামে একজন পোস্টে লিখেছেন, ‘লিটন সৌম্য আর শান্তকে দল থেকে বহিষ্কার আর মাহমুদুল্লাহ আর সাকিবের অবসর নেওয়া ফরজ হয়ে গেছে!’
আরও পড়ুন কানজয়ী অনসূয়াকে তসলিমার অভিনন্দন ৩০ বছর পর খুঁজে পেলেন তিন বান্ধবীকেক্রীড়া সাংবাদিক শাহাদাৎ আহমেদ সাহাদ লিখেছেন, ‘সব দোষ আসলে তাওহিদ হৃদয়ের। শ্রীলঙ্কার লগে হাসারাঙ্গারে তিনটা ছক্কা না মারলে ঈদের দিনই শ্যাষ হইতো বিশ্বকাপ। এত কিছু ভাবাও লাগত না।’
গীতিকার মেহেদী হাসান লিমন লিখেছেন, ‘আগামী পঞ্চাশ বছরেও এমন সুযোগ আর আসবে না! অভিনন্দন আফগানিস্তান। তাদের যে ডেডিকেশন, তারা এবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবার যোগ্যতা রাখে।’
লেখক ও নির্মাতা মোস্তফা মনন লিখেছেন, ‘মেসির মতো সাকিবেরও একটি বিশ্বকাপ প্রাপ্য। কিন্তু এটা আমরা খুব কম দর্শক বিশ্বাস করি।’
Advertisement
ক্রিকেট ভক্ত মুশফিকুর রহমান লিখেছেন, ‘খেলায় হার-জিত থাকবেই। বাট এত বড় সুবর্ণ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের ছেলেরা যে দৃষ্টিভঙ্গি দেখাইছে, যে শরীরী ভাষা দেখাইছে, ঘৃণা হয়, লজ্জা হয়।’
এসইউ/জিকেএস