রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর কাছে অবস্থিত একটি বড় অফিস ভবনে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৮ জন নিহত হয়েছে। আঞ্চলিক গভর্নর অ্যান্ড্রে ভোরোবিয়ভ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জরুরি বিভাগের কর্মকর্তারা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তাস নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন, মস্কো থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার (১৫ দশমিক ৫ মাইল) উত্তর-পূর্বের ফ্রায়াজিনোতে একটি ভবনে আগুন লাগার পর সেখান থেকে একজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
Advertisement
আগুনে অফিস ভবনের ভেতরে বিভিন্ন জিনিস ধসে পড়ে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আগুন লাগার পর ভয়ে-আতঙ্কে জানালা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার কারণে আরও দুজন নিহত হয়েছেন। গভর্নর অ্যান্ড্রে ভোরোবিয়ভ সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ফুটেজে দেখা গেছে, আটতলা কমপ্লেক্সের ওপরের তলা থেকে প্রচুর ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে। ওই ভবনটি কি কাজে ব্যবহৃত হচ্ছিল তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তাস নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক সময় এটি প্লাটান গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং প্রতিরক্ষা শিল্পের কাজে ব্যবহৃত হতো।
রাশিয়ার মালিকানাধীন ইলেকট্রনিক্স সংস্থা রুসেলেক্ট্রনিক্স জানিয়েছে, ভবনটি ১৯৯০ সাল থেকেই ব্যক্তিগত মালিকানাধীন হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। তবে বিরোধী মিডিয়া আউটলেটগুলো সাম্প্রতিক সময়ে জানিয়েছে, ২০২৩ সালের শেষের দিকেও ওই ভবনে প্লাটানের কার্যক্রম চলেছে।
Advertisement
গভর্নর অ্যান্ড্রে ভোরোবিয়ভ বলেছেন, ৩৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্থানীয় জরুরি পরিষেবাগুলো জানিয়েছে যে, এখন পর্যন্ত ওই ব্যক্তিকেই আগুন থেকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে আহত দুই দমকলকর্মীকেও চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে।
জরুরি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন যে, আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে দুটি হেলিকপ্টার এবং ১৩০ জনের বেশি সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে। কিভাবে ওই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হলো সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে এক প্রত্যক্ষদর্শী তাস নিউজ এজেন্সিকে জানিয়েছেন যে, ভবনটির সাততলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং পরে তা অন্যান্য ফ্লোরেও ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় গির্জা-সিনাগগে হামলায় পুলিশ-যাজকসহ নিহত অন্তত ২৩ ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের হামলার ফল যুক্তরাষ্ট্রকে ভোগ করতে হবে: রাশিয়াঅ্যান্ড্রে ভোরোবিয়ভ জানিয়েছেন যে, প্রায় ৩০টি কোম্পানি ওই ভবনটিতে অফিস পরিচালনার জন্য জায়গা ভাড়া নিয়েছিল। অগ্নিকাণ্ডে ওই ভবনের দুই কর্মীর এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তারা বেঁচে আছেন কি না তাও নিশ্চিত নয়।
টিটিএন
Advertisement