অর্থনীতি

অভিযোজনের অভিজ্ঞতায় দেশ খাদ্যে উদ্বৃত্ত

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ুর পরিবর্তনের সাথে কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থার সফল অভিযোজনের ফলে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ হিসেবে স্বীকৃত পেয়েছে বাংলাদেশ। আর নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশগুলোর খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারে ফলপ্রসূ হতে বাংলাদেশের অভিযোজন অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে বলে জানিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘কৃষি উৎপাদনের মূল ধারায় জলবায়ুর পরিবর্তনের সাথে অভিযোজন শীর্ষক চারদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনকালে শিল্প সচিব এসব কথা বলেন।জাপানভিত্তিক এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এপিও) এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) যৌথভাবে এ আন্তর্জাতিক  কর্মশালার আয়োজন করে।শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুষেণ কুমার দাসের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে এনপিও’র পরিচালক অজিত কুমার পাল এফসিএ, এপিও’র ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মুহাম্মদ সাঈদ  বক্তব্য রাখেন।শিল্প সচিব মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রায় সাত কোটি জনসংখ্যা নিয়ে এক সময় বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতি দেশ হিসেবে পরিচিত হলেও বর্তমানে ১৬ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ হিসেবে স্বীকৃত। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ুর পরিবর্তনের সাথে কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থার সফল অভিযোজনের ফলে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।তিনি বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য শিল্পোন্নত দেশগুলো দায়ি হলেও স্বল্পোন্নত দেশগুলো এর মারাত্মক ক্ষতির শিকার। এর ফলে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশগুলোর কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থায় ব্যাপকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তিনি নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে সম্মিলিতভাবে জলবায়ুর পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে চলার মতো কৃষি প্রযুক্তি ও ফসলজাত উদ্ভাবনের পরামর্শ দেন। জলবায়ুর পরিবর্তনের সাথে অভিযোজনের বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জাতীয় অভিযোজন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে বলে তিনি জানান।সচিব আরো বলেন, কৃষিখাত বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। এককভাবে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে (জিডিপি) এখাত ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ অবদান রাখছে। মোট কর্মসংস্থানের শতকরা ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ এখাতে নিয়োজিত। জাতীয় অর্থনৈতিক অগ্রগতির স্বার্থে সরকার কৃষিসহ সকলখাতের উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনায় জলবায়ুর পরিবর্তনের ইস্যুটিকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় রেখেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য, চারদিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বাংলাদেশসহ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৪টি দেশের মোট ২২ জন প্রতিনিধি ও ৬ জন দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ অংশ নিচ্ছেন। এর মাধ্যমে দেশগুলোর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে চলার মত কৃষি জাত উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এসআই/এসকেডি/আরআইপি

Advertisement