বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বজায় রাখতে আর্থিক খাতের নীতিসমূহকে শক্তিশালীকরণ এবং জলবায়ু সহিষ্ণু উন্নয়নে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার সমান ১১৭ কোটি ৫১ পয়সা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এ ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ৮৭৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
Advertisement
বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে ‘বাংলাদেশ সেকেন্ড রিকভারি অ্যান্ড রেজিলেন্স ডেভলপমেন্ট পলিসি ফাইন্যান্সিং’ প্রকল্পের আওতায় ঋণচুক্তি হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুন) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বিশ্বব্যাংক, ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক অর্থায়ন চুক্তিতে সই করেন।
আরও পড়ুনএলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশপ্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বজায় রাখতে আর্থিক খাতের নীতিসমূহকে শক্তিশালীকরণ এবং জলবায়ু সহিষ্ণু উন্নয়ন। অর্থ বিভাগ এ কর্মসূচির প্রধান বাস্তবায়নকারী সংস্থা। অর্থ বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগগুলোর মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এই ঋণ চার বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৫ বছরে পরিশোধ করতে হবে।
Advertisement
৫০ কোটি মার্কিন ডলার সমপরিমাণ ঋণের মধ্যে ৩০ কোটি মার্কিন ডলার বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) স্কেল আপ উইন্ডো থেকে নেওয়া হবে। এ ঋণ চার বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৫ বছরে পরিশোধ করতে হবে। জাপানি মুদ্রা ইয়েনে গৃহীত এ ঋণের ওপর দশমিক ২৫ শতাংশ হারে ফ্রন্ট অ্যান্ড ফি দিতে হবে। এ ঋণের সুদের হার হচ্ছে টোকিও ওভারনাইট অ্যাভেরেজ রেট প্লাস।
আরও পড়ুনবাংলাদেশকে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিলো বিশ্বব্যাংকঅবশিষ্ট ২০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) স্কেল আপ উইন্ডো শর্টার ম্যাচুরিউটি থেকে নেওয়া হবে। ১২ বছরে পরিশোধযোগ্য এ ঋণের জন্য ছয় বছরের গ্রেস পিরিয়ড রয়েছে। এ ঋণের ওপর কোনো সুদ বা অন্য কোনো চার্জ পরিশোধ করতে হবে না।
এমওএস/এমকেআর/জেআইএম
Advertisement